কালিগঞ্জের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

হাফিজুর রহমান শিমুলঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির রেডিওলজি বিভাগের গেস্ট টিচার সাঈদী হাসানের কাছে কোচিং না করায় ল্যাব বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সোলাইমানকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সোলাইমানের শরীরের বিভিন্ন অংশে লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে থেতলিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে ইনস্টিটিউটের পুরুষ হোস্টেলের ৪০৭ নং রুমে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ রাতেই তাকে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিক্ষার্থী সোলায়ইমান হোসেন পটুয়াখালী জেলা বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খেজুবাড়িয়া গ্রামের আবু হানিফের পুত্র।

 

 

 

 

রেডিওলজি বিভাগের ৩য় বিভাগের শিক্ষার্থী রিপনসহ কলেয়কজন শিক্ষার্থী জানান, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির রেডিওলজি বিভাগের গেস্ট টিচার সাঈদী হাসান ভাইভায় ফেল করিয়ে দেওয়া ও পরীক্ষার খাতায় লিখতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের তার কাছে কোচিং করাতে বাধ্য করেন। কিন্তু সোলাইমান ঐ শিক্ষকের কাছে কোচিং না করায় শুক্রবার রাতে রেডিওলজি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের রশিদ খান, ম্যাটস এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বক্কর রানাসহ কয়েক জনকে দিয়ে তাকে পুরুষ হোস্টেলের ৪০৭ নং রুমে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি পেটানো হয়।

 

 

এসময় নাহিদ হাসান ও রশিদ খানসহ আরও কয়েকজন সোলাইমানের হাত পা মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে থেতলিয়ে দেয়। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী সোলাইমান জানান, গতকালই তিনি হোস্টেলে আসেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ৪০৭নং রুমে ডেকে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, রেডিওলজি বিভাগের গেস্ট টিচার সাঈদী হাসান ভাইভায় ফেল করিয়ে দেওয়া ও পরীক্ষার খাতায় লিখতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের তার কাছে কোচিং করতে বাধ্য করেন। এছাড়া পরীক্ষার সময় তাকে নগদ অর্থও দেওয়া লাগে শিক্ষার্থীদের। তিনি (সোলাইমান) তার কাছে কোচিং না করায় তাকে এই নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

 

 

 

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় তিনি তার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। এছাড়া তাকে দেখতে সকালে তাকে দেখতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আফম রুহুল হক দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। তিনিও তাকে আশ্বস্থ্য করেছেন এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ফারুকুজ্জামান জানান, নির্যাতনের ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং বিষয়টি সত্য। এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলোও যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।