কেশবপুরে শহীদ মিনার নেই ২৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর ও স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও কেশবপুর উপজেলার ৩২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। বাকিগুলো নিয়ে ভাষার মাস এলেই কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। তবে তা খাতা কলমে সীমাবদ্ধতা। ১ বছরে নির্মিত হয়েছে মাত্র ২টি শহিদ মিনার।

 

 

জানা যায়, উপজেলার ৩২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ও ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে নির্মিত হয়নি কোন শহিদ মিনার। মাত্র ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। এর মধ্যে আবার অনেক শহিদ মিনার জরাজীর্ণ।

 

 

প্রতি বছর ফেব্ধসঢ়;রুয়ারি মাস এলেই চলে ঘষামাজার কাজ। অথচ সরকারিভাবে প্রত্যেক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রয়ারি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা ১৫৮টির মধ্যে মাত্র ১৪টি স্কুলে শহিদ মিনার আছে। এগুলো হলো মাগুরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপসেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভান্ডারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসুন্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাড়িয়াগোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিয়েলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শানতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুঙ্গাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৪টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে।

 

 

কেশবপুর উপজেলার নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৭২টি। এর মধ্যে শহিদ মিনার আছে ৩৮টিতে। ৫২টি মাদ্রাসার কোন প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই। ১২টি কলেজের মধ্যে ৭টিতে শহিদ মিনার আছে।

 

 

উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন ও প্রতিবন্ধী স্কুলের সংখ্যা ২৮টি। এর একটিতেও শহিদ মিনার নেই। কেশবপুর সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এ ধরণের খবর আমাদের সকলের জন্য দুঃখজনক। অতি দ্রুত প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

 

 

এই ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই, সেখানে দ্রুত শহিদ মিনার নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।