এস, এম, মিজানুর রহমান, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: পারমিট বন্ধ কাঁকড়া আহরন প্রজনন মৌসুমে অসাধু কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বনবিভাগ স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় মিডিয়া কর্মীকে লক্ষ লক্ষ টাকায় ম্যানেজ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরন অব্যাহত আছে। এতে কাঁকড়া প্রজনন বাধাগ্রস্থ সহ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। বিষয়টি স্বরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শ্যামনগরের সুধীমহল খুলনা বিভাগীয় যে কোন উদ্ধর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

জীব বৈচিত্র পরিবেশ বিশেজ্ঞদের মতে জানুয়ারীও ফেব্রæয়ারী এ দুইমাসে নদীতে কাঁকড়া প্রজনন ঘটে। যার কারনে প্রতিবছরের ন্যায় এ দুইমাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরনের পারমিট সরকারী ভাবে বন্ধ থাকে। এ সময় সুন্দরবন উপকূলীয় কাঁকড়ার হ্যাচারী গুলোতে কাঁকড়া সরবরাহ ও কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ থাকে।

 

 

হ্যাচারী ও ব্যবসা চালু রাখতে পারুলিয়া, কলবাড়ী, হরিনগর, নওয়াবেঁকী ও ভেটখালী বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বনবিভাগ স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় মিডিয়া কর্মীকে লক্ষ লক্ষ টাকায় ম্যানেজ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরন অব্যাহত আছে। সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরনের পারমিট বন্ধ থাকলেও সাদা মাছ আহরনের পারমিট দেওয়া হচ্ছে। আর অসাধু বনজীবিরা সাদা মাছের পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে কাঁকড়া আহরন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া বন বিভাগের সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ১২০ গ্রাম ওজন এর মেয়ে কাঁকড়া ও ২০০ গ্রাম ওজনের পুরুষ কাঁকড়ার নিচে (কম) ওজনের কাঁকড়া আহরন করা যাবেনা, ২৫ ফুট এর কম চওড়া খালে মাছ কাঁকড়া আহরন বা আটোল দ্বারা কাঁকড়া আহরন করা নিষিদ্ধ। অথচ বন বিভাগের সদস্যদের পক্ষ থেকে নেই কোন আইনগত ব্যবস্থা।

 

 

সুন্দরবন থেকে বনজীবিরা যে পরিমান ছোট কাঁকড়া আহরন করছে তাহাতে এক সময় কাঁকড়া শিল্প বিলপ্তি হতে পারে। সাতক্ষীরা রেঞ্চের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পকেট মানির কারনে দেখেও না দেখার ভান করেন। সুন্দরবন সুরক্ষা তথ্য সংগ্রহ ও অপরাধ দমনে এবং পরিবীক্ষন কাজে ব্যবহারের জন্য পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্চে ৪টি হালকা ড্রোন এর ব্যবস্থা করেছেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়েল উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

 

 

২০২১ সালের প্রথম দিকে সুন্দরবনের ১২ জন কর্মকর্তাকে ৪দিন ব্যাপী প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। তারপরও থেমে নেই সুন্দরবনের অপরাধ মূলক কার্যক্রম। বনজীবিরা সাদা মাছের পারমটি নিয়ে সুন্দরবনে শুধু কাঁকড়া আহরন করছে না তারা সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ ও মায়াবী হরিনও নিধন করছে। বর্তমান সময়ে সুন্দরবন থেকে প্রতিনিয়ত কাঁকড়া লোকালয়ে আসার দৃশ্য প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্চের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের টাকা লেনদেনের বিষয় কিছু জানেন না, তবে বর্তমানে সুন্দরবনের কাঁকড়া কোন বাজারে বেচা কেনা হওয়ার সংবাদ পেলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করব।