জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় টাকা নিয়ে পরিশোধ না করায় ২৪ নারীর বিরুদ্ধে সাট্টিফিকেট মামলা হয়েছে। উপজেলার পাঁচপোতা সমিতির সদস্য আনজুয়ারা বেগম, আনোয়ারা বেগম, ঝরর্না খাতুন, রাশিদা বেগম, খাদিজা বেগম, মমতাজ বেগম, ফাতেমা বেগম, চাইনা বেগম, রোজিনা
বেগম, নুরজাহান, রেখা, সালেহা, রমেছা, তাসলিমা, সালিমা, ফেরদৌসী, আম্বিয়া, রহিমা বেগম, রমেছা, আনোয়ারা, সাথি খাতুন, রোজিনা, আছিয়া বেগম, জেলেখা খাতুন উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে হাস-মুরগী ও গবাদি পশু পলনের জন্য ১৫হাজার, ২০হাজার ও ৩০হাজার টাকা লোন
গ্রহন করেন।

 

 

দীর্ঘ ১০/১২বছর অতিবাহিত হলেও তারা লোনের টাকা পরিশোধ না করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সাট্টিফিকেট শাখা থেকে কারণ দর্শানো নোর্টিশ প্রদান করা হয়। বার বার নোর্টিশ/ দিন ধার্য করার সত্বেও কোর্টে হাজির না হওয়া বা টাকা পরিশোধ না করায় তাদের প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে সাট্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়।

 

 

এবিষয়ে উপজেলার পাঁচপোতা সমিতির সদস্য আব্দুল মালেকের স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান-সমিতির সভাপতি জেলেখা খাতুন প্রতারনা পূর্বক ২৪জন সদস্যের বই থেকে ৫লাখ ৪৮হাজার টাকা উত্তোলন করে। এর পরে সে গোপনে ৩লাখ ১৫হাজার ৩শ ৫৫টাকা অফিসে জমাও দেয়। যেটা সমিতির সদস্যরা কেউ জানেন না। সদস্যদের বিরুদ্ধে সাট্টিফিকেট মামলা হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ পায়।

 

 

 

এবিষয়ে উপজেলা পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন-সাট্টিফিকেট মামলা হওয়ায় উপজেলার পাাঁচপোতা সমিতির সদস্যরা টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন তালবাহনা শুরু করেছে। এমনকি তারা সমিতির মাঠকর্মী নাছিমা খাতুনকে হয়রানী করার জন্য চক্রান্ত চালাচ্ছে। তিনি সমিতির টাকা উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাসকে বিষয়টি অবহিত করবেন। তিনি আরো বলেন-বর্তমানে ওই সমিতির সদস্যেদের কাছে ২লাখ ৯৮হাজার ৪শ ৫টাকা বকেয়া রয়েছে।