কলারোয়ায় আবহওয়া অনুকুলে না থাকায় ধান কাঁটা নিয়ে সংসয়ে কৃষক।

দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: কলারোয়ার জয়নগরে ইরি ধান কাঁটা নিয়ে সংসয়ে কৃষক! আবহওয়া অনুকুলে না থাকায়।চলতি মৌসুমে ইরি ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় কৃষক পর্যায়ে খুশির ফোয়ারা মলিন করে দিয়েছে আবহওয়া। গত দিনের বৃষ্টিতে ধানের জমিতে পানি জমে রয়েছে শুকাতে দুই তিন দিন লাগতে পারে এরি মধ্যো আবার বৃষ্টির পুর্বাভাসের কারণে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ। এক দিকে আবহওয়া অনুকুলে নেই অন্য দিকে নিরব ঘাতক কারেন পোকায় চরম ক্ষতি করছে ধানের। ব্লাষ্ট কে উপেক্ষা করতে পারলেও কারেন পোকার হাত থেকে রেহায় দিতে দিতে ব্যার্থ কৃষক। এমন পরিস্থিতি নিরবে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছে না অসহায় কৃষক।

 

জয়নগর এলাকায় অধিকাংশ মাঠে পাকা ধান কাঁটার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে/(বাতাসে পড়ে যাওয়া) শুয়ে রয়েছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কারো কারো ধান জলের উপরে ভাসছে। প্রায় প্রতি রাতে আকাশে মেঘের ঘনঘটা লক্ষনীয়, দিনের বেলাতে রোদ। এমন আবহওয়ায় কোন ভরসায় ধান কাঁটবেন সেই চিন্তা এখন কৃষক পর্যায়ে।

 

জয়নগরের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ২ বিঘা জমিতে চলতি মৌসুমে ইরি ধানের আবাদ করেছেন, ভালো ফলনও হয়েছিলো, ব্লাষ্টের হাত থেকে ধানকে রক্ষা করতে পারলেও কারেন পোকার হাত থেকে ধান কে রক্ষা করতে পারছেন না, তার পরও আবহওয়ার এমন বিরুপ প্রতিক্রিয়া। তিনি ২ বার কারেন পোকার প্রতিষেধক স্প্রে করেও ধানকে রক্ষা করতে ব্যার্থ। তিনি আরও জানিয়েছেন সময় মত ধান কাঁটতে পারলে বোধয় ক্ষতির পরিমান কিছুটা হলেও কমানো যেতো। সেটি সম্ভব হচ্ছে না শুধু মাত্র বৃষ্টির কারণে।

 

 

জয়নগরের আরেক কৃষক শুভঙ্কর মন্ডল জানিয়েছেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছেন, ১০কাটা জমির ধান বাড়িতে আনতে পারলেও বাকি ধান আবহওয়ার বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কারণে কাঁটতে সাহস পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন সেটিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।