ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনী, আতঙ্কিত উপকূলবাসী ঝুঁকিপূর্ন শ্যামনগরে ২২টি স্থান

এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনী, আতঙ্কিত উপক‚লবাসী বাধ সংলগ্ন এলাকা থেকে ভয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপক‚লের মানুষ। শ্যামনগরে পাউবোর বেঁড়ীবাঁধের ২২ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ২০০৯ সালে আইলার পর ২০১৩ সালের ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, ২০১৫ সালের ঘূর্ণিঝড় , ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় রোহানু, ২০১৭ সালে ঘূর্ণিঝড় মোরা, ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ও ফণী, ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবছরও ঘূর্ণিঝড় অশনীর তান্ডব সৃষ্টি হওয়ার আশংখ্যা দেখা দিয়েছে ।

 

 

প্রতিবছর এই উপক‚ল অঞ্চলে বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে এমন ধরণের দূর্যোগ হতে দেখা যায়। কিন্তু শ্যামনগর উপক‚লীয় অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৯ কিলোমিটার বেঁড়ীবাঁধের ৪৩টি স্থান ঝুঁকিপূর্ন ছিলো। তার মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্প বেঁড়ীবাঁধের ২১টি স্থানের ৯০% কাজ ইতি মধ্যে শেষ করেছে । শ্যামনগর উপক‚লীয় অঞ্চলের বাকী ২২টি ঝুঁকিপূর্ন বেঁড়ীবাঁধের মধ্যে কাশিমাড়ী ইউনিয়নে ১টি, আটুলিয়ায় ইউনিয়নে ১টি গাবুরা ইউনিয়নে ৭টি, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নে ৫টি, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে ৩টি, রমজাননগর ইউনিয়নে ৩টি, কৈখালী ইউনিয়নে ৩টি ধাপে কাজ করবে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ন বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ১টি স্থান দূর্গাবাটী মারাত্বক ঝুকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

 

 

এ দিকে ঘূর্ণিঝড় অশনীর সর্তক সংকেত শুনে উপক‚লবাসীরা অতংকিত হয়ে পড়েছে। ২০০৯ সালের পর একেধারে প্রতিবছর এই সব প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। পাউবোর বাধ ছিদ্র করে ও ¯øুইচ গেট দিয়ে নোনা পানি তোলার কারনে বাধগুলো দূর্বল হওয়ায় সে সব স্থানে ভাঙ্গার আশংখা করছে উপকুল বাসী।সরকারী ভাবে তেমন কোন সহযোগিতা পায়নি বলে দাবী করছেন উপকুলবাসী । বিশেষ করে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে নদীর চরে বসাবসকারীরা।

 

 

 

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় অশনীর পূর্ববর্তীতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম,পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালিনী চেয়ারম্যান হাজী নজরুল উপকুলীয় মানুষের বন্ধু বলে ক্ষ্যাত সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সমাজ সেব খলিলুল্লাহ ঝড়– জানান, অশনীর আগমনী সংকেত পেয়ে সকল প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা-৪এর এমপি এস,এম জগলুল হায়দার জানান,ঘূর্নিঝড় অশনী মোকাবেলায় উপকুলীয় মানুষদের নিয়ে সকল প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আকতার হোসেন জানান, ঘূর্নিঝড় অশনীর সংকেত পেয়ে মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্ততি গ্রহন করেছে।