শ্যামনগর পল্লীতে মারপিট করে জখমকরে নগত টাকা ও স্বর্ণালংকর লুট, আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ব্যবসায়ীক পাওনা টাকা চাওয়ায় চাঁদাবাজীর মিথ্যা মামলায় জেল হাজত খাটতে হলো এক নিরহ হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রেক ব্যবসায়ীর। ঘটনাটি ঘটেছে-উপজেলার গয়ড়া বাজারে।

 

 

দীর্ঘ দিন জেল হাজত খেটে নিরহ ব্যবসায়ী তার পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গণদরখাস্ত করেছেন। ঘটনার বিবরণে ও ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রেক ব্যবসায়ী উপজেলার বয়েরডাঙ্গা গ্রামের মুনসুর সরদারের ছেলে হাসান সরদার জানান-তিনি দীর্ঘ দিন ধরে গয়ড়া বাজারে হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রেক ব্যবসায়ী করে আসছেন।

 

 

উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন, বিক্রমপুর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শাহীনুজ্জামান, বয়ারডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, সুলতানপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ইলিয়াজ, কুটি ফকিরের ছেলে হোসেন আলী বিভিন্ন সময় হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রেক মালামাল ক্রয় করতো। এক পর্যায়ে ইমরান হোসেনের কাছে এক লাখ আশি হাজার টাকা পাওনা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে টাকা না দেওয়ায় তার কাছে টাকা চাইলে তাল বাহনা শুরু করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

 

 

বিষয়টি স্থানীদের জানানো হলো সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে দোকানে এসে হামলা করে। তারা থানা পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মিথ্যা ও সাজানো এবং পাতানো চাঁদাবাজী মামলা দেয়ার পরিকল্পনা করে। মামলা হওয়ার আগেই থানার ওসি নাছির উদ্দীন মৃধা গয়ড়া বাজারে এসে তার হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রেক দোকানের সামনে দাড়ান। এসময় তিনি এসে ঘটনার তদন্তের ভান করে। এসময় বিভিন্ন স্থানে ঘোরা ঘোরি ও ফোন করেন। পরে দোকানে এসে বলেন ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হবে থানায় চলেন। থানায় এনে সোজা থানা হাজতের মধ্যে আটকে রাখেন। রাতে মিথ্যা মামলা নিয়ে সকালে কোট হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি এসকল ঘটনা উল্লেখ্য করে বাংলাদেশ পুলিশের আইজি, খুলনা ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার সাতক্ষীরাসহ
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গণদরখাস্ত করেছেন। হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রেক ব্যবসায়ী হাসান সরদারের দেয়া আবেদনের বিষয়ে পুলিশ সুপারের ৩২৬ নং স্বারকে তদন্ত শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এর ৮২৬ নং স্বারকে অপরাধী ইমরান, ইলিয়াস, হোসেন আলী, শাহিনুজ্জামান, মাসুদ রানার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।