
সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলায় অফ-সিজনে তরমুজ চাষ করে চাষীরা সফলতা অর্জন করছে। স্বল্প খরচ করে স্বল্প সময়ে অফ সিজন তরমুজ চাষ করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করায় এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুকতে শুরু করেছে।শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এলাকায় অসময়ে অধিক ফলন সম্ভব ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করে আসছে।
কৃষি বিভাগ এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় শ্যামনগর উপজেলায় এই প্রথম বারের মত উচ্চ মূল্য ফসল প্রদর্শণী (অফ সিজন তরমুজ) চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এই তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে অনুধাবন করতে পেরে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ধাপুয়াচক গ্রামের কৃষক ডাক্তার মাহবুব রহমান (আনজির) ১ একর জমিতে এই ব্লাক জায়েন্ট জাতের তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষাবাদে তার সর্ব সাকুল্যে খরচ হয় ৭০ হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় পরামর্শ্ব ও সহযোগিতা নিয়ে কৃ্ষক আনজির কাজে নিয়োজিত থেকে চাষাবাদ করেন। এবং আশাপ্রদ ফলন পেয়ে লাভবান হবেন।কৃষক ডাক্তার মাহবুব রহমান আনজির জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ্ব নিয়ে অসময়ে তরমুজ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার আশায় বুক বেধে কাজ করেছি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে তরমুজ উঠাতে পেরে লাভের মুখ দেখতে পাবো বলে মনে করছি।ক্ষেতে যে ফল আছে তা বিক্রয় করে অন্ততঃ বড় অংকের টাকা পাব ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, কৃষি কর্মকর্তা স্যারেরা নিয়মিত খোঁজ কবর নিয়ে থাকেন। তাদের পরামর্শ্বে রোগ বালাই দমন করে ভালভাবে চাষ করতে পেরে আমি লাভবান হবো বলে আশা করছি। অসময়ে বড়বড় তরমুজ, দেখতে সুন্দর ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তরমুজের চাহিদা অনেক বেশী।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নাজমুল হুদা জানান, আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে এবছর শ্যামনগর উপজেলায় ভুরুলিয়া, কাশিমাড়ি, মুন্সিগঞ্জ, বুডিগোয়ালিনী,নুরনগর, ইউনিয়নে এসএসিপি রেইনস প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মত উচ্চ মূল্য ফসল প্রদর্শণী (অফ সিজন তরমুজ) চাষের উদ্যোগ গ্রহন করি। এবছর প্রায় ১৫ থেকে ১৮ হেক্টর জমিতে অফ সিজন তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,প্রথম চাষের কারণে খরচ একটু বেশী হয়ে থাকে। সে তুলনায় কৃষকরা তরমুজ বিক্রয় করে যথেষ্ট লাভবান হবেন। আগামীতে খরচ কমে আসবে। তখন লাভের পরিমাণও বেড়ে যাবে।