• সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯
সর্বশেষ :

অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতার হামলায় বন কর্মকর্তাসহ তিন বনরক্ষী আহত

প্রতিনিধি: / ৮৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনে শিকার নিষিদ্ধ অভায়রণ্যে মাছ ধরতে না দেয়ায় শরণখোলা উপজেলা
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতেৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীদের
হামলায় বন কর্মকর্তাসহ তিন বনরক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সুন্দরবন
বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেষ্টার
মতিউর রহমান ও স্পিড বোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলামকে উপজেলা হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছেন। এ হামলার ঘটনায় বন বিভাগ শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের
সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারসহ ছাত্রীগের পাঁচনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত
আরো ৮ জনকে আসামী করে শরণখোলা থানায় মামলা করেছে। পুলিশ শুক্রবার শুক্রবার
সকালে অভিযান চালিলে মো. জসিম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার
করেছে।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান,
শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও
ছাত্রলীগকর্মী সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনে শিকার নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে
মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। তাদের এই অনৈতিক দাবী না
মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে
বৃহস্পাতবার (২১মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে পূর্ব সুন্দরবন
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে
শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে
আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০ থেকে
১২জন সন্ত্রাসী তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় বন কর্মকর্তা ও
বনরক্ষীসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
এব্যপারে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান
রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারপিটকরে আহত
করার ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। এঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা।
যে যতো বড় নেতাই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।
শরণখোলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, আহত
সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা এখন মোটামুটি সুস্থ্য আছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন,
এহামলার ঘটনায় সুন্দরবন বিভাগের বগী ষ্টেশন কর্মকর্তা ফরেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর
আলম বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল

খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমের নাম উল্লেখসহ
অজ্ঞাত আরো ৮ জন জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার সকালে
অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য
অসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com