• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪
সর্বশেষ :
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা জমকালো আয়োজনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দেবহাটায় বিজয় মেলা উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা তালায় কিডনি রোগে আক্রান্ত স্কুলছাত্রী মুন্নী বাঁচতে চায়! শ্যামনগরে পানির প্রজেক্ট দখল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন দেবহাটায় অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন চুকনগর বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন বিজয় মেলার মাঠ পরিদর্শনে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তালায় ভূমি অফিস স্থান্তরসহ বিভিন্ন দাবিতে নাগরিক কমিটির মানববন্ধন পাইকগাছায় পাখি শিকারী আ ট কঃ জরি মা না

আগামী ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বাধিক আলোচনায় নাসির উদ্দিন

প্রতিনিধি: / ১৪৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ইনন্দুরকানী পিরোজপুর,প্রতিনিধিঃ ইন্দুরকানী উপজেলার সূধী, শিক্ষক, সাংবাদিক, কৃষক, জেলে আপামর সাধারণের মাঝে
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য ঘুরেফিরে একটি নাম বিভিন্ন কারনে ব্যাপক
আলোচিত হচ্ছে। সরকারি বিএল বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা, বিশিষ্ট
সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব জননেতা জনাব মুহাম্মদ নাসীর উদ্দিন।তিনি
অবিভক্ত বালিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বালিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী হাওলাদার বাড়ীতে জন্মগ্রহন
করেন। তাঁর পিতা হাফেজ আব্দুল মান্নান হাওলাদার ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন আলেমে দ্বীন।
তাঁর দাদা মরহুম সোনা আলী হাওলাদার ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ধার্মিক ব্যক্তি। তিনি ফুরফুরা
এবং ছারছিনা দরবারসহ সকল ধর্মীয় দরবারের খেদমতে যুক্ত থাকার করনে তাঁকে মুসুল্লি
উপাদিতে ভূষিত করা হয়। নানা বাড়ী চন্ডিপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পঞ্চায়েত বাড়ি।
মরহুম রিয়াজ উদ্দিন পঞ্চায়েত ছিলেন তাঁর নানা মরহুম সৈজুদ্দিন পঞ্চায়েতের পিতা।
ইন্দুরকানী উপজেলায় তাঁদের রক্তের আত্মীয় সংখ্যা সর্বাধিক। তাছাড়া তিনি সর্ব প্রথম দক্ষিণ
বাংলার অক্সফোর্ডখ্যাত সরকারি বিএল বিশ্বিবদ্যালয় কলেজ থেকে সর্বপ্রথম বাংলা সাহিত্য ও
সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক সন্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং এলএলবি পাশ
করেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কয়টি নির্বাচনে
সামনের সাড়িতে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে আল্লামা দেলাওয়ার
হোসাইন সাঈদীর সবকয়টি নির্বাচনে তিনি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উপজেলার অন্যতম
সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।এ যাবৎ অনুষ্ঠিত ৪টি উপজেলা নির্বাচনের সবকয়টি
নির্বাচন পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন। অবিভক্ত বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সবকয়টি
নির্বাচন পরিচালনায় অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে তিনি
আল্লামা সাঈদীর সেঝো সন্তান জননেতা জনাব মাসুদ সাঈদীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে
সাহসিকতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি অবিভক্ত বালিপাড়া ইউনিয়নে 'ইসলামী
সমাজকল্যাণ পরিষদ' ও 'ইসলামি পাঠাগার' এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী ছিলেন। পিরোজপুর
জেলার প্রবীন আইনজীবী এবং অবিভক্ত বালিপাড়া ইউনিয়নের স্বর্নপদক জয়ী জননন্দিত

চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুস সোবহানের একান্ত সহচর হিসেবে তৎকালীন সময়ে শত শত
মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করে স্বনির্ভরের মাধ্যমে বালিপাড়া ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা রাস্তা নির্মান
করার মাধ্যমে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কঁচা ও বলেশ্বর নদী বেস্টিত অবিভক্ত
বালিপাড়া ইউনিয়নের চতুর্পাশে নির্মিত বেড়িবাঁধ এর WMCA এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী
হিসেবে তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে বেড়িবাঁধ নির্মানের মাধ্যধে এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের
সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি "ইন্দুরকানী উপজেলাকে পিরোজপুর-১ আসনে সংরক্ষণ
আন্দোলন" এ তৎকালীন এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী উপদেষ্টা, অবিভক্ত
বালিপাড়ার চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান মঞ্জু আহবায়ক এবং জনাব মুহাম্মদ নাসীর
উদ্দিন সদস্য সচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। এলাকার অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন
করেন। ২০০৭ সালের সিডরের পরে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে তিনি গেছেন।
মুসলিম এইড ইউ-কে এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক
অবদান রেখেছেন। করোনা মহামারীর সময়ে রোগির সেবাসহ এলাকার ভ্যান, অটোচালকসহ
হতদরিদ্র পরিবার সমূহে নিজ উদ্যোগে ব্যাপক আর্থিক সহযোগিতা ও করোনা প্রতিরোধে
বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিতরন করেন। প্রচার বিমুখ এই নিবেদিত সমাজ সেবক কখনো নিজেকে
জাহির করার জন্য মিডিয়ায় প্রচার করেন নি। সমগ্র উপজেলার আপামর মানুষ বিশেষ করে
শিক্ষিত ও আলেম সমাজের কাছে সর্বাধিক পছন্দের ব্যক্তি তিনি। শারীরিক গঠন, সুস্বাস্থ্য,
বয়স, বাচনভঙ্গি, উপস্থাপনা ক্ষমতা, মানুষের সাথে নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, নিরহংকার মার্জিত ও
শিষ্টাচারসম্পন্ন উন্নত আচরণ, হাসিমুখে কথা বলা, সবার সাথে মেশার এক মোহনীয় ক্ষমতা
তাঁকে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
জনাব মাসুদ সাঈদী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হলে তিনি সকলের আলোচনার প্রার্থী।
ছাত্রজীবনে তিনি খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার ছাত্র সংসদের জিএস, মাদরাসা ছাত্র
আন্দোলন পরিষদ খুলনা বিভাগীয় সেক্রেটারী, ১৯৮৬ সাল থেকে রাজপথের সাহসী ছাত্রনেতা
হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঞ্জুমানে
মুফিদুল ইসলাম,খুলনার সহসম্পাদক, মানবাধিকার সংস্হার খুলনা ও ভোক্তা অধিকার
সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় সেক্রটারী, বৃহত্তর বরিশাল সমিতি খুলনার সদস্য, পিরোজপুর
ফোরাম, খুলনার সভাপতি, এ্যাপেক্স ক্লাব অব খুলনার ট্রেজারার হিসেবে যোগ্যতার সাথে
দ্বায়িত্ব পালন করছেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন এনজিও, আর্ন্তজাতিক এনজিও, হাসপাতাল,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের শীর্ষস্হানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নির্বাহী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন
করেছেন।

তাঁর সততা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সাহস,
নেতৃত্বের গুনাবলী ও বহুমুখী প্রতিভার কারনে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হলে
উপজেলার আপামরসাধারণ মানুষ ভোটের মাঠে স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা পালন করবেন এবং
ভোটার উপস্থিতি বহুগুণ বাড়বে বলে সুধীমহলের ধারনা। ইতোমধ্যে জনাব মুহাম্মদ নাসীর
উদ্দিনের উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হবার সম্ভাবনার গুঞ্জনে অনেক প্রার্থী
শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে আলাপ হলে তিনি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী
হওয়ার ব্যাপারে এখনই কোন মন্তব্য করতে চান না বলে জানান।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com