• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৮
সর্বশেষ :
সাংবাদিকদের জন্য সচেতনতা মূলক পোস্ট দেবহাটায় ৩দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন নিরাপদ সড়কের জন্য দুই রাজনৈতিক নেতার প্রতিশ্রুতি নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন জেন্ডার ট্রাসফরমেটিভ ওয়াশ বিষয়ক কর্মশালা শ্যামনগরে মৎস্য ঘের দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৩ ধানদিয়ায় উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত দেবহাটায় শহীদ আসিফ স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত দেবহাটায় গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা দেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল গাজীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দা ফ ন সম্পন্ন মনিরামপুরে ব্র্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রত্যাশা ২ প্রকল্পের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন: জামায়াতের আমীরের ভাঙ্গন পরিদর্শন

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব্যুরো / ৮০ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আশাশুনি উপজেলা সদরের মানিকখালী চর গ্রামে মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। চর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ২০০ ফুট ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 

সোমবার সকালে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আব্দুল্লাহ, রোকন বাবলুর রহমান, জামায়াত নেতা হযরত আলী সরদার, আমীর হামজা খোকন, জিয়াউল হক প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা জামায়াত নেতা আমীর হামজা খোকন বলেন, মরিচ্চাপ নদী খননের জন্য ভাঙনস্থলে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে যায়। পানি সরবরাহ না থাকায় বিগত দু’বছর ধরে লোনাপানির জন্য বুধহাটা, আশাশুনি ও শোভনালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই কয়েক মাস আগে স্থানীয় লোকজন উক্ত বাঁধ কেটে দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেন। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কাটার কারণে জোয়ার ভাটার সময় বাঁধ এলাকায় প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।

স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল ইসলাম বলেন, চরভরাটি এ এলাকাটি আশাশুনি সদরে হলেও এর অনেকাংশ বুধহাটা ইউনিয়নের জমি।

বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু ভাঙন রোধে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করা হয়। অনতিবিলম্বে ভাঙন এলাকায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আমাদের প্রায় ৪ শ পরিবার ভেসে যাব।

আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আতঙ্কিত শতশত নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে বলেন, মরিচ্চাপ নদীর এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চাপড়া ও আশাশুনি মৌজার ৪ শ ভূমিহীন পরিবার প্লাবিত হয়ে গৃহ হীন হয়ে পড়বে। বাঁধটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে মানিকখালী ভূমিহীন পল্লী ভাসিয়ে উপজেলা পরিষদ আক্রান্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর না হলে নদী ভাঙনে চরের ভূমি হীন পল্লী সহ উপজেলা সদরের নকশা বদলে যাবে। উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় কে অবহিত করা হয়েছে। উনি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোমেন আলীর সাথে (০১৭৭৯২৮৭৮৩৯) যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

অনতিবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ভূমিহীন পল্লীর বাসিন্দারা।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com