স্পোর্টস: দুই বছর আগে স্বপ্ন ভেঙেছিল ‘অদ্ভুতভাবে।’ এবার অবশ্য সেমি-ফাইনালে দৌড়াতে পারলেন ইমরানুর রহমান, কিন্তু পারলেন না ঝড় তুলতে। ওয়ার্ল্ড ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও সেই সেমি-ফাইনালেই থামল বাংলাদেশের দ্রততম মানবের পথচলা। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে সেমি-ফাইনালের দুই নম্বর হিটে দৌড়ান ইমরানুর। ৬ দশমিক ৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের হিটে আট প্রতিযোগীর মধ্যে অষ্টম হন তিনি। সব মিলিয়ে ২৪ জনের মধ্যে ইমরানুরের অবস্থান ২১তম। প্রাথমিক হিটে মিলিয়ে সেরা টাইমিং করেছিলেন ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান; ৬ দশমিক ৪৯ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাথলেট সেমি-ফাইনালের হিটেও হয়েছেন সেরা; স্রেফ ৬ দশমিক ৪৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে। পদকের লড়াইয়ে ওঠা আট প্রতিযোগীর মধ্যে সবশেষ জন জাপানের শুহেই তাদা; তার টাইমিং ৬ দশমিক ৫৬ সেকেন্ড। হিটে অবশ্য আলো ছড়িয়েছিলেন ইমরানুর। ৬ দশমিক ৬৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করে নিজের হিটে তৃতীয় এবং সব হিট মিলিয়ে ১৭তম হয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠেন ৩০ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট। ২০২২ সালে সার্বিয়ার বেলগ্রেডের আসরে হিটেও একই টাইমিং করে সেমি-ফাইনালে উঠেছিলেন ইমরানুর। কিন্তু ‘অদ্ভুতভাবে’ সেবার ছিটকে যাওয়ার হতাশা সঙ্গী হয়েছিল তার। দৌড়ানোর শুরুতে লন্ডন প্রবাসী এই অ্যাথলেট শুনতে পাননি স্টার্টার গান ফায়ারের সংকেত। পরে জাজদের সাথে কথা বলেও লাভ হয়নি; বিদায় নিতে হয় তাকে। হিট ও সেমি-ফাইনালে মিলিয়ে গø্যাসগোয় ব্যক্তিগত সেরা টাইমিংও এবার করতে পারেননি ইমরানুর। গত বছর কাজাখস্তানে হওয়া এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের পথে ৬ দশমিক ৫৯ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই অ্যাথলেট। সেটা এখনও তার সেরা টাইমিং। গত ফেব্রæয়ারির মাঝামাঝি ইরানের তেহরানে হওয়া এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ ইমরানুরের জন্য ছিল আরও হতাশার। ৬০ মিটারে ৬ দশমিক ৬৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুকুট হারিয়ে তিনি হয়েছিলেন চতুর্থ। যদিও এ বছর দেশের ট্র্যাকে ইমরানুর ছিলেন দারুণ ছন্দে। গত ফেব্রæয়ারির শুরুতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়া জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়েছিলেন তিনি। টানা চতুর্থবারের মতো দেশের দ্রæততম মানব হওয়ার পথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই অ্যাথলেট দৌড় শেষ করেন ১০ দশমিক ৩৬ সেকেন্ডে।
https://www.kaabait.com