• বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০১
সর্বশেষ :
ডুমুরিয়ায় মোবাইল কোর্ট করে চিংড়ি মাছ বিনষ্ট ভোট হলে আমরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ– হাবিবুল ইসলাম হাবিব দেবহাটায় জেলা প্রশাসকের মেধাবী ও দুঃস্থদের সাইকেল ও সেলাই মেশিন প্রদান তালায় ব্রাকের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সদর ভেটেরিনারি হাসপাতালে মো. সায়মুন হোসেনের যোগদান সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজের তারুণ্যের উৎসব আয়োজন সমাপ্ত বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- সাবেক এমপি হাবিব তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে তালায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান দেবহাটায় শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া দেবহাটায় তারুণ্যের উৎসবে জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশক নিধন অভিযান

খুলনার কয়রা থেকে স্মার্ট ডাক সেবার যাত্রা শুরু

প্রতিনিধি: / ১৪২ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪

ইমদাদুল হক:  খুলনার কয়রায় ‘স্মার্ট পোস্ট সেন্টার’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্মার্ট ডাক সেবার উদ্বোধন করেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। ফলে এখন থেকে ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা মিলবে এই স্মার্ট পোস্ট সেন্টার থেকে।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জোহান ফরসেল এবং ইউএনডিপি’র সহকারী মহাসচিব উলরিকা  মোদের, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ-কে সঙ্গে নিয়ে এই সেন্টরটি উদ্বোধন করেন সুইডেনের রাজকন্যা। এ সময় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার এবং এটুআই-এর পলিসি এ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজকন্যার হাতে মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধ বই ও একটি বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্বারক ডাকটিকিটের বাঁধানো পোস্টার উপহার দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। অতিথিরা এসময় স্থানীয় সেবা গ্রহিতাদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং কয়রা স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
স্মার্ট পোস্ট সেন্টার কয়রার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫টি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট সেন্টারে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট পোস্ট সেন্টার, কয়রা এই উদ্যোগের প্রথম যাত্রা। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় সহসাই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট সেন্টার বাস্তবায়ন করবো। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও জনগণ এই স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাকিং, এজেন্ট ব্যাকিং পরিষেবা সহ সকল ই-গভর্নমেন্ট সেবা অনায়াসে গ্রহণ করতে পারবেন; যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন, তিনশ’ ১৯টি পৌরসভা ও সকল সিটি কর্পোরেশনে ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছে। এ সকল সেন্টার থেকে প্রতি মাসে প্রায় এককোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করছেন। যার মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের আট হাজার ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি সেন্টার থেকে সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারে রূপান্তর করতে চান।
প্রসঙ্গত,স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সাথে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভূত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com