স্পোর্টস: টেস্টর প্রথম দিন শেষ বিকেলে শেষ ব্যাটসম্যান জশ হেইজেলউড যখন ক্রিজে গেলেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য তিনশ রান তখন বেশ দূরের পথ। ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরি নিয়েই তখন টানাটানি। অথচ দ্বিতীয় দিনে সেই গ্রিনের রান পেরিয়ে গেল ১৭০ আর দল পৌঁছে গেল ৪০০ রানের কাছাকাছি! নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে শেষ উইকেটে এমন অসাধারণ এক বন্ধনই গড়ে তুলেছেন গ্রিন ও হেইজেলউড। শেষ উইকেটে দুজন গড়েছেন ১১৬ রানের জুটি। ইংল্যান্ড ছাড়া অন্য কোনো দলের বিপক্ষে যা শেষ জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। টেস্টের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার হেইজেলউড যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, গ্রিন তখন খেলছিলেন ৯১ রানে। দিনের শেষ ওভার ছিল সেটি। ওই ওভারেই তিনটি বাউন্ডারিতে শতরানে পা রাখেন গ্রিন। নতুন দিনে তাদের অভিযান শুরু হয় নতুন করে। বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের হতাশ করে ছুটতে থাকে দুজনের রানের রথ। রানের স্রোত বয়ে গেছে মূলত গ্রিনের ব্যাটেই। হেইজেলউড সঙ্গ দিয়ে যান। ১১৬ রানের জুটিতে গ্রিনের অবদান ১২৬ বলে ৮৩, হেইজেলউডের ৬২ বলে ২২। শেষ পর্যন্ত হেইজেলউড আউট হওয়ায় শেষ হয় ইনিংস। গ্রিন তখন অপরাজিত ১৭৪ রানে। ৯ উইকেটে ২৬৭ থেকে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৮৩ রানে গিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার আগের সেরা ছিল জেসন গিলেস্পি ও গেøন ম্যাকগ্রার ১১৪। ২০০৪ সালে ব্রিজবেনে ওই জুটি বিশেষ কিছু ছিল অন্য কারণে। জুটিতে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিলেন না একজনও। ৯ নম্বরে নেমে গিলেস্পি করেছিলেন অপরাজিত ৫৪, ১১ নম্বরে নেমে ম্যাকগ্রা ৬১। নিউ জিল্যান্ডের মাঠে দশম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল স্রেফ ৪৮ রানের। ১৯৭৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে তা গড়েছিলেন ডগ ওয়াল্টার্স ও ম্যাক্স ওয়াকার। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষ জুটিতে সপ্তম শতরানের জুটি এটি। রানের হিসেবে এটি পঞ্চম সেরা। ওপরের চারটি জুটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সবার ওপরে ফিল হিউজ ও অ্যাশটন অ্যাগারের ১৬৩ রানের জুটি। ২০১৩ অ্যাশেজে ট্রেন্টব্রিজে যে জুটি গড়েছিলেন ওই দুজন। সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে শেষ জুটিতে শতরানের বন্ধন গড়ে উঠল এই নিয়ে ২৮ বার। সবার ওপরে জো রুট ও জেমস অ্যান্ডারসনের জুটি। ভারতের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজে ২০১৪ সালে শেষ জুটিতে দুই ইংলিশ ক্রিকেটার যোগ করেছিলেন ১৯৮ রান!
https://www.kaabait.com