জমে উঠেছে ঈদের বাজার! কাঁচাবাদাম থ্রিপিস, পুম্পরাজা শাড়ির উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছে তরুণীরা

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার।আর মাত্র ৬ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।দীর্ঘদিন পর কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী,পুরুষ শিশু,কিশোররা। বিগত করোনার কারণে প্রায় দু বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল ঈদ বাজার।

 

 

 

সকল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।এতে করোনার লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা।কেশবপুর বাজারের বিপনী বিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য বারের মতো এবারও বিতানগুলো ভারতীয় পেষাকের আধিক্য।বিভিন্ন নামে বিক্রি হচ্ছে এসব পোষাক।তবে কাঁচাবাদাম থ্রি পিস আর পুম্পরাজা শাড়ির উপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তরুণীরা ব্যবসায়ীরা বলছেন করোনার কারণে প্রায় দু বছর বসে থাকতে হয়েছে।তবে এবার বাজারে ক্রেতারা আসছেন।ঘুরে ঘুরে দেখছেন পছন্দ হলে কেনাকাটা করছেন।

 

 

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে গত দু বছরে ঈদের বাজারে কোনো উৎসবের আমেজ ছিলো না।গত দু বছরে দেশের মানুষ করোনা মহামারিকে মোকাবেলা করে বিজয়ের বেশে আবারও সাভাবিক কর্মচাঞ্চলতায় ফিরেছে।এ যেন চিরোচেনা পরিবেশ।গত দু বছর পর মানুষ ঈদুল ফিতরের উৎসবের আমেজে সাভাবিক ভাবে ফিরে এসেছে।

 

 

যার কারণে ঈদের বাজারে মানুষের প্রতিদিন ভীড় বেড়েই চলেছে।গত রবিবার,সোমবার ও মঙ্গলবার কেশবপুর পৌর শহরের বিভিন্ন বিতান ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় কিশোর,কিশোরদের সাথে নিয়ে নারী-পুরুষরা ভীড় জমাচ্ছে বাজারে।উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরোধান আবাদের ভালো বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদুল ফিতরের উৎসব চলাকালে মানুষ তাদের কষ্টার্র্অজীত বোরোধান সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়বে।

 

 

তাই ঘরের মহিলারা আগেভাগে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের কেনাকাটার দিকটায় সামলিয়ে নিতে ঈদের কেনাকাটার বাজারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।শহরের নারী-শিশুদের ব্যাপক উপস্থিতি মানুষ যেন করোনার বন্ধীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে।কেশবপুর পৌর শহরের মধুসূদন সড়কের সবুজ গার্মেন্টসের মালিক বলেন,এবছর ঈদের বাজার আগে ভাগে জমে উঠেছে।বিশেষ করে মেয়ে ও শিশু সন্তানদের জামাকাপড়ের চাহিদা বেশি।মধুসূদন সড়কের ভাই ভাই ভ্যারাইটস স্টোরের মালিক মশিয়ার রহমান বলেন,ঈদের কেনাকাটার বাজারে জামা কাপড়ের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রশাধনীর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

 

 

কেশবপুর পৌরসভা সড়কের ফ্যাশাণ জোনের বিক্রেতা সিফাতই-আরা বলেন,তার দোকানে সব শ্রেণির মেয়ে শিশুদের জামা কাপড়ের চাহিদা বেশি।স¤্রাট-সুর কেশবপুরের ডিলার কার্তিক চন্দ্র বলেন এবছর ঈদের বাজারে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা আগেভাগে শুরু হয়ে গেছে।গত দু ছর দেশে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পাড়ার কারণে দেশে লকডাউন চলাকালে মানুষের মাঝে ঈদের কেনাকাটার বাজারে কোনো আমেজ ছিলো না।

 

 

বর্তমানে দেশে করোনা মহামারি না থাকায় মানুষ ঈদের উৎসবে ফিরে এসেছে। ঈদের প্রায় ৬ দিন বাকি থাকলেও ঈদের বাজার আগেভাগে জমে উঠেছ।এখন সাধারণ মানুষের ভীড় বাড়ছে। এরপরে ঈদের কাছাকাছি সময়ে চাকুরী জিবিরা ঈদের বেতন-বোনাস পাওয়ার পর তাদেরকে ঈদের বাজারে দেখা মিলবে। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ঈদের বাজারে মানুষের ভীড় ততই বেড়ে যাবে।তবে সব শ্রেণির মানুষের জুতার চাহিদা রয়েছে।

SHARE