বিদেশ : মিয়ানমারে চলতি সপ্তাহে বিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আরও বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটি হাতছাড়া হয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের। জান্তাবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) ঘাঁটি আক্রমণ করেও সফল হয়নি সেনাবাহিনী। গত তিন দিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে সেনাবাহিনীর। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেনারা নিজেদের ঘাঁটি বাঁচাতে পারেনি। ৬২টি সেনা ট্রুপ পরাজিত হয়েছে। জান্তা সরকার একাধিক ঘাঁটি হারিয়েছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিডিএফের সঙ্গে একযোগে লড়াই করেছে এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন (ইএও) নামে আরও একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ লড়াই হয়েছে। ইতোমধ্যে সাগাইং, মাগওয়ে ও মান্ডালায় তীব্র লড়াই হয়েছে। কাচিন ও কারেন রাজ্যেও লড়াই হয়েছে বলে জানা গেছে। হোমালিন অঞ্চলের শুই পি আই শহরটি দখল করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। ১০ দিন ধরে তারা সেখানে পিডিএফের সঙ্গে লড়াই করেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা জিততে পারেনি। এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে তারা। ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর এই এলাকাটি পিডিএফ দখল করেছে। তারপর থেকে একাধিকবার সেনারা এই অঞ্চল নিজেদের কব্জায় নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। গত শনিবার মাগওয়ে অঞ্চলে সেনার ২৫৮ নম্বর লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করছিল বলে জানা গেছে। তারা ওই অঞ্চলের বাড়িঘরে লুটপাট চালাচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পিডিএফ তাদের ওপর ২০টি ড্রোন হামলা চালায়। তাতে সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পিডিএফ। মিনগিয়ান অঞ্চলেও একইভাবে লড়াই হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে পিডিএফের বø্যাক টাইগার গ্রæপের সঙ্গে সেনার একটি রেজিমেন্টের লড়াই হয়েছে। সেনারা একটি বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিল। মন্দিরে ঢুকে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। সব মিলিয়ে গত ১০ দিনে পিডিএফ ও সেনাবিরোধী যোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন অংশে একাধিক জায়গার দখল নিয়েছে। যে এলাকাগুলো সেনা শাসন সমর্থন করে সেই এলাকাগুলোতেও আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে পিডিএফ।
https://www.kaabait.com