মঙ্গলবার ১১জুন সকাল ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে চাইল্ড প্রোফাইল এস্টিমেট এবং কস্টিং মডেল টুল ডেমোনস্ট্রেশন এবং ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার কাজল মল্লিক, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, সমাজসেবা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বিশ্বাস, ডুমুরিয়া উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আশরাফ হোসেন।
বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিখা রাণী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী শাহাঙ্গীর আলম, চেয়ারম্যান জহিরুল হক, শেখ দিদারুল হোসেন,সমারেশ মন্ডল, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, বক্তব্য বক্তরা বলেন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নে বাংলাদেশের জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৫ এবং দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২৫ এর পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে সুপারিশমালা পুষ্টি প্রতিটি মানুষের প্রয়োজনীয় শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ও সঠিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। পুষ্টির অভাবে মাতৃগর্ভে শিশুর কাঙ্খিত বৃদ্ধি ঘটে না।
সঠিক পুষ্টির অভাবে জন্মের পরেও শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশুর বয়স অনুযায়ী সঠিক বৃদ্ধি এবং মেধা বিকাশের পাশাপাশি সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ অর্জনের জন্য পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ।
শক্তিশালী জাতি গঠনে ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দেশের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পুষ্টিনীতি ২০১৫ এবং দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২৫ প্রণয়ন করেছে। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এর সাথে সংগতি বজায় রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে’।
এই পুষ্টিনীতি ও কর্ম পরিকল্পনায় মানব জীবন চক্রব্যাপি পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অপুষ্টি হ্রাসে বিশেষ গুরুত আরোপ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২৫ এ শিশুর পুষ্টি উন্নয়নের জন্য জন্মের প্রথম ১ ঘণ্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার জাতিয় পর্যায়ে ৮০% এ উন্নীত করা, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বাড়িয়ে ৭০% এ উন্নীত করা, ২০-২৩ মাস বয়সী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো অব্যাহত রাখার হার ১৯৫% করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে (টেবিল জন্মের পর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর শতকরা হার ২০১৪ সালে ৫৫ শতাংশ থেকে ২০১৮ সালে ৬৫ শতাংশ হলেও ২০২২ এ কমে আবারও ৫৫ শতাংশ হয়েছে (বিডিএইচএস ২০২২)সেই সাথে ২০-২৩ মাস বয়সী শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো হার ২০১৪ সালে ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৮৫ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে ৬-২৩ মাস বয়সী শিশুদের ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার গ্রহণের হার ২০১৪ সালে ২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ২৯ শতাংশ হলেও ২০২৫ সালের মধ্যে NPAN২ লক্ষ্যমাত্রা ৪০% এ পৌছাতে পুষ্টি কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। মারাত্মক তীব্র অপুষ্টির Severe Acute Malnutrition (SAM) ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র দেশের সব উপজেলায় কার্যকর করার লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও সমগ্র বাংলাদেশে মাত্র ২৯৪ টি উপজেলায় SAM কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সারা দেশে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রায় ৪৭ শতাংশ SAM ইউনিট সেবা প্রদানের জন্য সক্রিয় নয়, SAM চিকিৎসার জন্য উপকরণের বিশেষ করে F-৭৫ ও ৮-১০০ এর সরবরাহের অভাব: ডাক্তার ও নার্সদের সক্ষমতার অভাব রয়েছে (NPAN২ Monitoring Report ২০২০-২১)°। সংক্রামক রোগ শিশু অপুষ্টির অন্যতম কারণ। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণ রোগের চিকিৎসা হলেও NPAN২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই সেবার আরও প্রসার প্রয়োজন’।
এছাড়াও, জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনায় পুষ্টি-সংবেদনশীল কার্যক্রম যেমন খাদ্য নিরাপত্তা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং স্বাস্থ্যবিধি, পায়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিধি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম সুপারিশ করা হয়েছে।
https://www.kaabait.com