• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮
সর্বশেষ :
খুলনায় ৯ বছরের শিশুকে ধ র্ষণের চেষ্টাকারীকে মারধোর করে পুলিশে সোপর্দ ককটেল বোমা ও অস্ত্রসহ বিস্ফোরক মামলার আসামি মুরাদকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব আশাশুনিতে ৭ ডিসেম্বর আশাশুনি মুক্ত দিবস পালন দেবহাটায় জলবায়ু সচেতনতায় স্টেকহোল্ডারগনের সাথে কর্মশালা নারায়ণগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধন হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে : বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আশাশুনির বড়দলে রবিউল বাশারের গণসংযোগ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফ্লাইটকে ভিভিআইপি মুভমেন্ট ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

ডুমুরিয়ায় তীব্র দাবদাহে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেন মোস্তফা সরোয়ার

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ২০১ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
তীব্র দাবদাহে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ

খুলনার ডুমুরিয়ায় তীব্র দাবদাহ থেকে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ বোতলজাত পানি বিতরণ করেন দৈনিক পরিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ও বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী
লীগ নেতা ও ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তফা সরোয়ার।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ডুমুরিয়া সদর,বাস স্ট্যান্ড চত্বর ও চৌরঙ্গী মোড় হয়ে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়ক এলাকায় পথচারী, দিনমজুর, ভ্যানচালক, খেটে খাওয়া মানুষ, বাসচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রমজীবী
মানুষের মাঝে বোতলজাত পানি বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আটলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায়,খান আনিসুর রহমান, মোঃ শামিম, এস কে বাপ্পি,রবিউল ইসলাম,আরিফ,আলামিন প্রমুখ।

উত্তপ্ত রাস্তায় মানুষকে বেরোতে হয়, বেঁচে থাকার জন্যই। এপ্রিল এমনিতেই দেশের উষ্ণতম মাস। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করতে হয়। তারমধ্যে তাপপ্রবাহ চলছে। দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হলো সোমবার।  বৃষ্টির জন্য মানুষ আকুতি করছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে, বৃষ্টির দেখা নেই।  ডুযুরিয়ায় রাস্তায় তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি ও শরবৎ সরবরাহ করছেন অনেকেই। নিজ উদ্যোগে বা কোন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এমন কার্যক্রম চোখে পড়ছে।

 

এবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা না থাকায় চৈত্র মাসের শেষ সময় থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটছে। সড়কে
হিট স্ট্রোকের ঘটনার কথা খবরে আসছে। আর এসবকে কেন্দ্র করেই কিছু মানবিক মানুষ লেবুর শরবত ও পানির বোতল নিয়ে পথে নেমেছেন তারা এসব তুলে দিচ্ছেন সাধারণ পথচারীদের হাতে।

ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ মোস্তফা সরোয়ারের নেতৃত্বে ভ্যানে করে একদল তরুণ পানির বোতল ও শরবৎ পথচারীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। পথচারীরাও থেমে শরবৎ পান করছেন। কেউ কেউ পানির বোতল সাথে করে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। একই দৃশ্য দেখা গেল ডুমুরিয়া বাসষ্টাডে। এখানে আরো বড় পরিসরে পানির বোতল পথচারীদের তুলে দিচ্ছেন।

 

ডুমুরিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা খান আনিসুজ্জামান বলেন, পথচারীরা গরমে অনেকেই মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছেন। এই সময়টা একটু পানি দরকার হয়। অনেকেই এভাবে রাস্তায় পানি বিতরণ করছেন এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আরেকজন পথচারী আসলাম। তিনি বললেন, মানুষ মানুষের জন্য ভাবছে এটা বড় কথা। এই সময়টা পথের মানুষের জন্য পানিটা খুবই জরুরি। যারা এমন কাজ করছে তাদের আল্লাহ মঙ্গল করুন।

 

এদিকে, আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডেটা সংরক্ষণ রাখা আছে। চলতি মৌসুমের আগের ৭৫ বছরের মধ্যে টানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে চলে ২০২৪ সালে। ওই বছরের এপ্রিলের শেষ ১৮ দিন ও মে মাসের শুরুর ৫ দিন দাবদাহ ছিল দেশে।

 

এখন পর্যন্ত টানা ২৭ দিনের তাপপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল বলেন, ৩১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছিল, তাপমাত্রার পরিমাণও (তুলনামূলক) ছিল কম। ১১ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে বেড়ে মাঝারি রূপ নেয় এবং যোগ হয়েছে কিছু অঞ্চল। ১৬ তারিখ থেকে তীব্রতা বেড়ে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক অঞ্চলে তা বিস্তৃতি লাভ করে এবং তাপমাত্রার পরিমাণ তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়। এর মধ্যে ২২ এপ্রিল খুলনা তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ওঠে। আর আজ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে।

 

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।  গত বছর ৩১ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এবারেও একই তাপমাত্রা আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদের ভাষ্য, “গত বছর বাতাসে আর্দ্রতা কম ছিল। এবার আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মানুষের শরীর ঘামছে, অস্বস্তি বেশি হচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com