• শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১০

তেঁতুলিয়ায় সরকারি দুই কর্মচারী ঠিকাদারির অভিযোগে তদন্ত

প্রতিনিধি: / ১০৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪

সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়ঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কার্য্য সহকারি জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসের জারিকারক জিয়াউর রহমান
অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান কাজে নামসর্বস্ব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ নিয়ে ঠিকাদারি করার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।এনিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জাকির হোসেনকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী অফিসার মো.ফজলে রাব্বি।যদিও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদন্তের আগেই বলেছেন তারা কোন ঠিকাদারি করছে না।নিজের দায়িত্বের জন্য মাঠে যেতে হয়।
এর আগে ২৮ জানুয়ারী বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়,অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান প্রকল্পের সিংহভাগ কাজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মূল ঠিকাদারের দেখা মেলে না।মূলত কার্য্য সহকারি ও জারিকারক ঠিকাদারের নামে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেন।শুধু নাম-পরিচয় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যবহারের বিনিময়ে ঠিকাদারকে প্রকল্প অনুযায়ী একাধিক কিস্তিতে নির্দিষ্ট কমিশন দেওয়া হয়।তাদের অভিযোগ তদারকির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত হওয়ায় তারা জবাবদিহির আওতায় আসছেন না।
জানা যায়,২০২১-২২ অর্থ বছরের আওতায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মান প্রকল্পে ৩৯ টি ঘর। ৫ টি প্যাকেজে টেন্ডার হয়।তার মধ্যে ২ টি প্যাকেজের ঠিকাদার বোদার সিদ্দিকুর রহমান নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, সুরমা ট্রেডার্স বোদা, রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্স বোদা,গোলাম ফারুক বোদা ১ টি করে প্যাকেজ পায়।প্রতি ঘরের বরাদ্দ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।সময় বাড়িয়ে নিয়ে এপ্রিল মাসের মধ্যে ঘর হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ,ইউসুফ আলী,আব্বাস আলী,তবিবর রহমান,সামশুল হক,আইনুল হক,ইউসুফ আলী,সহিদুলসহ অন্তত ১৫ টি বাড়ি ঘুরে মুক্তিযোদ্ধা,তার পরিবারের সদস্য,নির্মাণ কাজের মিস্ত্রিরা জানিয়েছেন,জহিরুল-জিয়াউর ঠিকাদার আর কেউ আসেনি তারাই আসেন কাজ দেখতে।দেবনগর শান্তিজোত এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল হক জানান,তেঁতুলিয়ার জহিরুল ঠিকাদার অফিসের কি জানি চাকুরি করছে।আরেকজন আছে মজিবরের ছেলে জিয়া দুজনে ঠিকাদার।কাজ করছে হামিদুল মিস্ত্রি।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাদোয়া রুফাইদা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর আসাদুজ্জামান রাজিব জানান,অনেক দুর হচ্ছে, এজন্য জহিরুলসহ আরেকজনের নাম জানিনা তাদেরকে দেয়া হয়েছে কাজটি। বিল করার জন্য একদিন এসে স্বাক্ষর করে নিয়ে গেছে তারা।ঠিকাদার সিদ্দিকুর রহমান জানান,রবিউল তেঁতুলিয়া নিয়ে যায় পিআইও অফিসে। একদিন স্বাক্ষর করে নিয়েছে কাজগুলো জিয়া করতেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারির সঙ্গে তিনি জড়িত নন। অফিসের নির্দেশে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখাশোনার জন্য সাইটে যেতে হয়।জিয়াউর রহমান জানান,আমার শশুর ঠিকাদার তিনিই কাজ করেন।শ্রমিকের টাকা পাঠিয়ে দেয় মাঝে মধ্যে আমাকে দেয়ার জন্য।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com