• শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৬
সর্বশেষ :
তালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন ডুমুরিয়ায় খামারী প্রশিক্ষণ তালার সমকাল স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ কালিগঞ্জে ব্রাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় সরবরাহ বেশি থাকায় কমেছে টমেটোর দাম আশাশুনিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আমানত হিসাব খোলার ক্যাম্পেইন আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছ চাষের প্রদর্শণী বিষয়ক কর্মশালা সাংবাদিকদের জন্য সচেতনতা মূলক পোস্ট দেবহাটায় ৩দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন নিরাপদ সড়কের জন্য দুই রাজনৈতিক নেতার প্রতিশ্রুতি নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের নদ-নদী রক্ষা বিষয় নদী মেলা অনুষ্ঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি  / ১৪৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা শিল্পকলা একাডেমীতে নদী মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নদী মেলায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি ও শুভ উদ্বোধক বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এম পি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা ৩আসনের এম পি আ ফ ম রুহুল হক, খুলনা ৬আসনের এম পি মোঃ রশীদুজ্জান, যশোর ৪আসনের এম পি এনামুল হক বাবুল, সাতক্ষীরা ১আসনের এম পি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা ২আসনের এম পি মোঃ আশরাফুজ্জামান, যশোর ৬আসনের এম পি আজিজুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা ৩১৩ আসনের লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বক্তব্য দেন সিইজি আআই এস উপ নির্বাহী উপ পরিচালক মোতালেব হোসাইন সরকার আইডব্লিউএম, পরিচালক সোহেল মাসুদ, প্রধান প্রকৌশলী, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল, বাপাউবো, বিদ্যুৎ কুমার সাহা,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ডিজাইন সার্কেল-৮, বাপাউবো, ড. মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, খুলনা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শ্যামল কান্তি রায় ও চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান প্রমুখ।

বক্তব্য বক্তরা বলেন যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় কালাতাক্ষ নদের টেকসই নিষ্কাশন ও বন্যা ব্যবস্থাপনা: স্বপোতাক্ষ নদ যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে। ১০০ বছরেরও আগে কপোতাক্ষ নদ ও মাথাভাঙ্গা নদীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং কপোতাক্ষ একটি মৌসুমী ও জোয়ার-ভাটা নদী হয়ে পড়ে। ফল শ্রুতিতে উজানে পানির প্রবাহ কমে যাওয়াতে
নদী গর্তে পলি সঞ্চয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬০-এর দশকের প্রথমাদে শ্রাব্যতাক্ষের জোয়ারের পানিতে পার্শ্ববর্তী পাবন ভূমিতে পলি জমা হত।

নদী ও নদীর অববাহিকায় সেতু, ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, পোল্ডার, ইত্যাদি মানব-সৃষ্ট বাঁধার কারণে জোয়ার-ভাটার প্লাবন ব্যাহত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে কলাড়িত পলি জমার হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পলি পরিবহন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ফলে উক্ত এলাকার বহু মন্ত্রীতে খালে তীর নিষ্কাশন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

৩৫ বছর মেয়াদী এই উদ্যোগে কপোতাক্ষ নদের নিম্নাংশের (ডাউন স্ট্রিম) খাট বিলে (পাখিমারা, হরিহরনগর, রাজাপুর, হরিণখোলা, দলুয়া ও জালালপুর) পলি ব্যবস্থাপনা, জোয়ার ও অটোয় প্রবাহিত নিট পানির পরিমাণ (টাইডাল প্রিজম)
বৃদ্ধি ও নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জোয়ার-ভাটা নদী ব্যবস্থাপনা (টিআরএম) কার্যক্রম চালানো হবে।

এছাড়াও এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ড্রেজিং করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি (ক্যাপিটাল ড্রেজিং), খাল খনন ও নদীর পাড়ে স্বল্প-উচ্চতার বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বৃদি যশোর জেলার যশোর সদর, মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বাটিয়াঘাটা ও দৌলতপুর উপজেলা সমূহ ভবদহ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯৪ হতে ২০০২-এর মধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বহুল পরিচিত খুলনা-যশোর নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্পের (কেজেডিআরপি) বাস্তবায়ন সম্পন্ন করে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যমান নিষ্কাশন জটিলতা হ্রাস পায় এবং ফল শ্রুতিতে কৃষি ফলন বৃদ্ধি পায় ও আর্থ-সামাজিক
উন্নয়ন সাধিত হয়। তবে কেজেডিআরপি এলাকার উত্তর-পশ্চিমাংশের অন্তর্ভুক্ত (মূলত ভবদহ) মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলায় ২০০৫ সালের অক্টোবর হতে ২০০৬ এর শেষ পর্যন্ত তীব্র নিষ্কাশন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জোয়ার-ভাটা নদী ব্যবস্থাপনা/জোয়ারাধার (টিআরএম) অববাহিকার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে হরি নদীতে ব্যাপক হারে পলি সঞ্চয়ন হয়। মাঠ পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ফেব্রুয়ারি হতে এপ্রিলের মধ্যে হরি- তেলিগাতি নদীতে প্রায় ১২ লাখ টন হারে পলি জমা হয়।

এ থেকে ধারণা করা যায় যে টিআরএম কার্যক্রমের অনুপস্থিতিতে নদী সমূহে ব্যাপক হারে পলি জমার ফলে নিষ্কাশন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ২০০৫-২০০৬ সালে ভবদহ এলাকায় পরিলক্ষিত তীব্র জলাবদ্ধতা, কৃষি ফলন হ্রাস এবং সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতির অবনতির সমস্যা সমাধান করতে প্রয়োজন টিআরএম দ্বারা টেকসই পলি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ।

নিষ্কাশন ক্ষমতা বজায় রাখতে ও পলি ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ৪০ বছর ধরে এই ৬ টি বিল টিআরএম অববাহিকার কাজ করবে। হরি নদীতে পর্যায়ক্রমে জোয়ারাধার অববাহিকার ক্রিয়াকলাপ প্রস্তাব করার পেছনে কারণ হল, বিদ্যমান ৬ টি বিল প্রয়োজনীয় পরিমাণ জোয়ার-ভাটার প্রবাহ (টাইডাল প্রিজম) সৃষ্টি করতে সক্ষম। একইভাবে আপার ভদ্র নদীর উর্ধাংশে, ঘ্যাংরাইল ও
হামকুড়া নদী অবদাহিকায় যথাক্রমে ৪টি, ৫টি ও ৫টি বিল জোয়ারাধার হিসেবে ব্যবহৃ করে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ক্ষমতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনা করেন মনিরুজ্জামান জোয়ারদার।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com