• শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭
সর্বশেষ :
জমকালো আয়োজনে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবের ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দেবহাটায় বিজয় মেলা উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা তালায় কিডনি রোগে আক্রান্ত স্কুলছাত্রী মুন্নী বাঁচতে চায়! শ্যামনগরে পানির প্রজেক্ট দখল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন দেবহাটায় অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন চুকনগর বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন বিজয় মেলার মাঠ পরিদর্শনে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তালায় ভূমি অফিস স্থান্তরসহ বিভিন্ন দাবিতে নাগরিক কমিটির মানববন্ধন পাইকগাছায় পাখি শিকারী আ ট কঃ জরি মা না শ্যামনগর রিডা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তারের ভু ল অপারেশনে প্রসূতির মৃ ত্যু 

দুই দক্ষিণী তারকা নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন

প্রতিনিধি: / ১২৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

বিনোদন: এই মুহূর্তে ভারতজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নাগরিকত্ব আইন। লোকসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে গত সোমবার মধ্যরাত থেকেই দেশে কার্যকর হয়ে গেছে নাগরিকত্ব আইন। যদিও বেশ কয়েক বছর আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ পাস হয়েছে সংসদে। এবার সেটা কার্যকর করা হলো। নিয়ম-বিধি তৈরি করে সদ্যই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আর দেশে সিএএ আইন কার্যকর হতেই অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন। এবার এই আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দুই দক্ষিণী তারকা কমল হাসান এবং বিজয় থালাপতি। কমল হাসান জানিয়েছেন, সিএএ আসলে দেশকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, ‘এই আইনটি অত্যন্ত তাড়াহুড়া করে পেশ করা হয় এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে এখন কার্যকর করা হচ্ছে। এটা বিজেপির ঘৃণ্য পরিকল্পনাগুলোর অন্যতম। ধর্ম, ভাষা এবং বর্ণের ভিত্তিতে সরকার আমাদের নাগরিকদের বিভক্ত করতে চাইছে।’ অন্যদিকে বিজয় আগেই জানিয়েছেন যে তিনি এখন অভিনয়ের থেকে মন সরিয়ে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে চান। আর সেটার শুরু তিনি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। গত ২ ফেব্রæয়ারি তিনি তামিলেগো ভেট্ট্রি কাজাগাম নামক একটি দল তৈরি করেছেন। এরপরই গত মঙ্গলবার তামিল নাড়ুর সরকারকে এই আইনের বিরোধিতা করে একটি চিঠি লেখেন থালাপতি বিজয়। তিনি তাঁর চিঠিতে সাফ জানান, এই আইন মানা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অভিনেতা বলেন, ‘এটা মানা অসম্ভব। আমাদের রাজ্যে সিএএর মতো কোনো আইন কার্যকর হতে পারে না। আমরা কিছুতেই মানব না এটা। এই আইন আমাদের দেশের জন্য বেমানান।’ ভারতের সবচেয়ে আলোচিত সিএএ আইন হচ্ছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যে ইসলাম ধর্মের মানুষ ছাড়া অন্যান্য ধর্মের সংঘ্যালঘু মানুষরা ভারতে এসেছেন তাঁরা এই দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। সিএএর কারণে অসম, বাংলাসহ ত্রিপুরার মতো রাজ্যের বহু মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এনআরসি হয় যখন, তখন অসমের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ সমস্যায় পড়ে। তাই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের নেতারা ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যের কারো নাগরিকত্ব ক্যানসেল হলে তিনি তার বিরোধিতা করবেন এবং মোটেই ছেড়ে দেবেন না।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com