বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জাহানারা কামরুজ্জামান (জে কে) ডিগ্রি কলেজে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। এদিকে দীর্ঘ দিনেও ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানাযায়, ১৯৭২ সালের দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতেই উপজেলার তালুচ এলাকায় কলেজটির কার্যক্রম শুরু করে। সেই সময় অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন নৃপেন্দ্র নাথ। এরপর ১৯৭৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মুনিষ চৌধুরী, আব্দুল জলিল, ফনিন্দ্র নাথ বসাক, আমিনুল ইসলাম, ফনিন্দ্র নাথ বসাক, আবুল বাসার পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৩ সালে কলেজটি দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে স্থানান্তরিত হয়। ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি আব্দুল মজিদ প্রামানিক নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ৩০ আগস্ট ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকে জহুরুল ইসলাম জহির, আব্দুল মান্নান সরদার, রাবেয়া খাতুন, তাজুল ইসলাম তালুকদার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময় কলেজটিতে অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়নি।
আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম তালুকদার জানান, এর আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাকালে জহুরুল ইসলাম জহির ও আব্দুল মান্নান সরদার অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। যোগ্যতা সম্পন্ন অধ্যক্ষ না পাওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আগামী ডিসেম্বরে চাকরি থেকে অবসর নিবেন। এই স্বল্প সময়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আগামীতে যিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনিই অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করবেন বলে জানান তিনি। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ইউএনও জান্নাত আরা তিথি জানান তিনি সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে সম্প্রতি গভর্নিং বডির দায়িত্ব নিয়েছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছরেও কেন অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়নি বিষয়টি তার বোধগম্য নয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে কলেজটি পরিচালনা করছেন তিনি। এক্ষেত্রে নতুন করে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে তার কিছুই করার নেই।
https://www.kaabait.com