
দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ৬ নং ও ৭নং ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য কর্তৃক সরকারী গাছ কেটে বিক্রি করে আত্মসাৎ করার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। যার কারনে ঐ দুই ইউপি সদস্য সাংবাদিকসহ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছে বলে বেড়াচ্ছে। তাদের হাত অনেক বড় এমনকি তাদের কেউ কিছু করতে পারবেনা এমন নানা করা বলে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করানো হয়েছে।
জানা গেছে, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের টাউনশ্রীপুর দক্ষিণপাড়া হাতেম গাজীর মসজিদের সামনে রাস্তার পাশের সরকারী দুটি মেহগনি ও রোড শিশু গাছ দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবলু ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজগার আলী স্থানীয় এক গাছ ব্যবসায়ীর রিয়াজের নিকট বিক্রি করে। রিয়াজ টাউনশ্রীপুর গ্রামের লেদু খার ছেলে।
গত সপ্তাহের সোমবার সকালে উক্ত ব্যবসায়ী গাছ কাটতে শুরু করলে স্থানীয়রা বিষয়টি সংবাদকর্মীদের জানাই। সংবাদকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শরীফ নেওয়াজকে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উক্ত কাটা গাছগুলো জব্দ করে অফিসে নিয়ে আসেন। পরে এসি ল্যান্ড উক্ত মেম্বরদেরকে অফিসে ডেকে পাঠালে তারা নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবলু সেসময় বলেন, বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে। কে মিমাংসা করলো প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার অনুমতি দিয়েছিল গাছের ডাল কাটতে। কিন্তু ভুলক্রমে গাছ কেটে ফেলেছে। আপনারা গাছ বিক্রি করেছেন জানতে চাইলে এই ইউপি সদস্য বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি।
এবিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে ঐ ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়। তারা সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা কথা বলে। একপর্যায়ে তারা গত মঙ্গলবার সকালে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুলকে সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে যেয়ে মাফ চেয়ে আসেন।
ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামানকে বিষয়টি সোমবার ৪নভেম্বর অবহিত করলে তিনি জানান, গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়টি কোন সমাধান হয়নি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে সোমবার ইউপি সদস্য বাবলুকে ফোন দিলে তিনি অনেক সাংবাদিক দেখেছেন এবং যা পারে তাই করে নিক বলে ফোনে হুমকি দেন। টাউনশ্রীপুর গ্রামের স্থানীয়রা জানান, ঐ দুই ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম দিয়ে ইতিপূর্বে এরকমভাবে অনেক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। গাছ ব্যবসায়ী রিয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সঠিক তথ্য জানা যাবে। গত সরকারের সময়ে এমনকি গত ২০/২৫ দিন আগে টাউনশ্রীপুর কাশেম সাহেবের বাড়ির সামনে থেকে একটি সরকারী গাছ বিক্রি করে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।