দোয়ারাবাজারে ধর্ষণের পর কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। পুলিশ ওই ধর্ষককে মঙ্গলবার সকালে আটক করেছে। তার নাম লিটন আহমদ (২০), সে ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের বল্লবপুর গ্রামের খলিল আহমেদের ছেলে। নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম তমা আক্তার (১৬) দোয়ারবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ ছিল না পান্ডারগাঁও গ্রামে। ফরিদ আহমদের স্ত্রীও তখন বাড়ীতে ছিলেন না। ফরিদ আহমদ ও তার ছোট ছেলে বাজারে ছিলেন। এই সুযোগে লিটন বাড়ীতে ডুকে তমাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
রাত সাড়ে আট টায় তমার ছোট ভাই বাড়ীতে এসে দরজা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করে টিনের বেড়ার ছিদ্র দিয়ে তার বোনের লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে, বুঝতে পারে। রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন তমার বাবা ফরিদ আহমদ।
তমার চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলী হোসেন দাবী করেছেন, তার ভাতিজিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে খুন করেছে লিটন আহমদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস বললেন, তমার নাকে-মুখে রক্ত ছিল।পায়জামা খোলা ছিল। মরদেহ খাটের (পালংয়ের)খুঁটিতে এমনভাবে রশি দিয়ে ঝুলানো ছিল, যে এভাবে কেউ ফাঁস লাগতে পারে না। পুলিশের সন্দেহ হয় যে “তমাকে” ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই মামলা নেওয়া হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার সকালেই আসামি লিটনকে পাশের দুই কিলোমিটার দূরের দশনলি মোকাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লিটন স্বীকার করেছে সে তমাকে খুন করেছে। তিনি দাবি করেছেন তমার সঙ্গে তার প্রেম ছিল। পরিবার তার কাছে বিয়ে দেয়নি তমাকে। তিনি অন্যত্র বিয়ে করেছেন।
তার দুই মাসের শিশু সন্তান আছে। তিনি দাবি করেছেন তমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সোমবার রাতে তমা তাকে জুতা দিয়ে আঘাত দেওয়ায় সে উত্তেজিত হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আসামি লিটনকে নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা দুইটায় পুলিশ প্রেস ব্রিফিং করে এই তথ্যদেন।