• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮
সর্বশেষ :
God Mode pour Windows 10 ➤ Accédez facilement à tous les réglages Bluetooth Driver for Windows 10 ➤ Téléchargez et Installez Facilement সরকারি জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা রফিক খানের মার্কেট নির্মান; দ্রুত উচ্ছেদের দাবী আশাশুনিতে হ ত্যা মামলার আসামী ডাবলুসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন  বগুড়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা খুলনায় গ্রান্ট উইন্ডোর গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খু ন সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হ ত্যা নওগাঁ মান্দায় কৃষক হ ত্যা’র দায়ে ২৬জনের যাবজ্জীবন কা রা দ ন্ড দুঃশাসনের কবল থেকে দেশ ও জাতি মুক্ত হয়েছে : সাবেক সংসদ মোশারফ হোসেন বৃহত্তর বগুড়া সমিতির আহ্বায়ক মুকুল, সদস্য সচিব টিটু

নিউ জিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই জমিয়ে তুলল

প্রতিনিধি: / ৯০ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪

স্পোর্টস: খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, গেøন ফিলিপসের পরিচয় ছিল কিপার-ব্যাটসম্যান। এখন তিনি নিয়মিতই বোলিং করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বোলার তো আর নন! সেই তিনিই দুর্দান্ত অফ স্পিন বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের ১৫ বছরের এক অপেক্ষার অবসান ঘটালেন। ফিলিপস যেখানে এতটা কার্যকর, সেই উইকেটে ন্যাথান লায়নের তো আরও জ্বলে ওঠার কথা। সেই আভাসও তিনি দিলেন বটে। তবে তাকে সামলে আবার প্রতিরোধ গড়ে তুললেন রাচিন রাভিন্দ্রা। সব মিলিয়ে তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই জমিয়ে তুলল নিউ জিল্যান্ড। ম্যাচও এখন রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায়। তবে ফেভারিট এখনও অস্ট্রেলিয়া। তাদের যে একজন ন্যাথান লায়ন আছেন! টার্নিং উইকেটে এই অফ স্পিনারের দিকেই তাকিয়ে তার দল। ওয়েলিংটন টেস্ট জিততে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ২৫৮ রান, অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানের লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে তৃতীয় দিনে কেবল ১৬৪ রানেই গুটিয়ে দেয় নিউ জিল্যান্ড। কিউইদের বোলিং নায়ক গেøন ফিলিপস। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তার শিকার ৪৫ রানে ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই, ৫৪ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন তিনি প্রথমবার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের কোনো স্পিনার সবশেষ ৫ উইকেট নিতে পেরেছিলেন সেই ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন জিতান প্যাটেল। প্রথম ইনিংসের ঘাটতির কারণে নিউ জিল্যান্ডের লক্ষ্যটা তবু দাঁড়ায় বিশাল। ৩৬৯ রানের পেছনে ছুটে তারা তৃতীয় দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ১১১ রানে। রাচিন রাভিন্দ্রা উইকেটে আছেন ৫৬ রান নিয়ে। উইকেটে সবুজের ছোঁয়া আছে এখনও। তবে তা কিছুটা বিভ্রান্তির। কারণ ওই ২২ গজে স্পিনাররা টার্ন পাচ্ছেন বেশ, বাউন্সও কখনও কখনও অসম। যদিও ব্যাটিং খুব কঠিন নয় এখনও। কিউইদের সামনে চতুর্থ দিনে মূল চ্যালেঞ্জ লায়নই। বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ছিল আগের দিনই। শেষ বিকেলে দ্রæত দুটি উইকেট তুলে নেয় তারা। নতুন দিনের সকালে তাদেরকে বেশ ভোগান্তিতে ফেলেন নাইটওয়াচম্যান লায়ন। দ্রæত রান তুলে দলকে পঞ্চাশ ছাড়িয়ে নিয়ে যান তিনি। তাকে ফিরিয়েই দিনে প্রথম সাফল্যের দেখা পায় নিউ জিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৫৩, তাতে লায়নের অবদানই ৪১! নাইটওয়াচম্যানের সেই স্কোরই পরে হয়ে থাকে দলের সর্বোচ্চ। দুই ঘণ্টার বেশি ক্রিজে কাটিয়ে ২৮ রান করা উসমান খাওয়াজাকে ফিরিয়ে ফিলিপস শুরু করেন শিকার। ক্যামেরন গ্রিন ও ট্রাভিস হেড এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। দুজনকেই থামান ফিলিপস। প্রথম ইনিংসে অসাধারণ ব্যাট করা গ্রিন এবার ফেরেন ৩৪ রানে, হেড করেন ২৯। মিচেল মার্শকে প্রথম বলেই বিদায় করে দেন ফিলিপস। এরপর অল্পতে বিদায় করে দেন অ্যালেক্স কেয়ারিকেও। লোয়ার অর্ডারে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সরাও এ দিন দাঁড়াতে পারেননি। ৩৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড প্রথম ৫ ওভার কাটায় নিরাপদে। এরপরই লায়নকে আক্রমণে আনেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ফল মেলে তাৎক্ষনিক। নিজের প্রথম ওভারে টম ল্যাথামকে বিদায় করে দেন এই অফ স্পিনার। একটু পর লায়নের শিকার কেন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে রান আউট হওয়া ব্যাটসম্যান এবার করতে পারেন কেবল ৯ রান। সা¤প্রতিক সময়ে অসাধারণ ফর্মে থাকা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রেকর্ড বিবর্ণই রয়ে গেল। তার ক্যারিয়ার ব্যাটিং গড় ৫৫.২৫, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ টেস্টে গড় ৩৭.২৬। ২০ ওভারের পর ট্রাভিস হেডের বাঁহাতি স্পিন আক্রমণে নিয়ে আসেন কামিন্স। এবারও প্রথম ওভারেই তা কার্যকর। ¯িøপে স্টিভেন স্মিথের অসাধারণ ক্যাচের শিকার হয়ে ৫২ বলে ১৫ রান করে ফেরেন উইল ইয়াং। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আর কোনো বিপদ হতে দেননি রাভিন্দ্রা ও ড্যারিল মিচেল। রক্ষণ আর আগ্রাসনের মিশেলে দারুণ খেলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রানে অপরাজিত রাভিন্দ্রা। একপ্রান্ত আঁকড়ে রেখে ৬৩ বলে ১২ রানে অপরাজিত মিচেল। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান পেরিয়ে গেছে ৫০। তবে জয় এখনও অনেক দূরের পথ। জিততে হলে এই মাঠের রেকর্ড নতুন করে লেখাতে হবে নিউ জিল্যান্ডকে। ২১ বছর আগে পাকিস্তানের ২৭৭ রান তাড়ায় জয়ই বেসিন রিজার্ভের সর্বোচ্চ। এবার সেটি ছাপিয়ে যেতে হলে লায়নের চোখরাঙানি থামাতে হবে রাভিন্দ্রাদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৩৮৩ ।
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৭৯
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৮ (আগের দিন ১৩/২) ৫১.১ ওভারে ১৬৪ (স্মিথ ০, খাওয়াজা ২৮, লাবুশেন ২, লায়ন ৪১, গ্রিন ৩৪, হেড ২৯, মার্শ ০, কেয়ারি ৩, স্টার্ক ১২, কামিন্স ৮, হেইজেলউড ১*; সাউদি ১১.১-২-৪৬-২, হেনরি ১২.১-১-৩৬-৩, কুগেলাইন ৩-০-১৮-০, ও’রোক ৭.৫-৪-১১-০, ফিলিপস ১৬-৪-৪৫-৫, রাভিন্দ্রা ১-০-২-০)।
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৬৯) ৪১ ওভারে ১১১/৩ (ল্যাথাম ৮, ইয়াং ১৫, উইলিয়ামসন ৯, রাভিন্দ্রা ৫৬*, মিচেল ১২*; স্টার্ক ৬-২-২২-০, হেইজেলউড ৭-২-১৭-০, লায়ন ১৬-৭-২৭-২, ৮-১-২৫-০, হেড ৪-১-১০-১)।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com