আন্তর্জাতিক: পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকার গঠনে পরস্পরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পিপিপি এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তারা একসঙ্গে কাজ করা পরিকল্পনা করেছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জি নিউজের প্রদর্শিত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পার্লামেন্টে ৯২টি আসন পেয়েছে, আর পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৯টি ও পিপিপি ৫৪টি। এ অবস্থায় পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে জোট সরকার গঠনে সমঝোতা হলে নির্বাচনী ফলাফলে প্রথম স্থানে থাকা ইমরানের অনুসারীদের ক্ষমতার বাইরেই থাকতে হবে। পিএমএল-এন ও পিপিপি যদি জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর মতো তৃতীয় কোনো দলকে জোটে যুক্ত করতে পারে তাহলে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের মাধ্যমে তাদের উদ্যোগ সফল হবে বলেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সমর্থনও এই জোটের প্রতি থাকবে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের। রোববার পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল লাহোরের বিলাওয়াল হাউজে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ও কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে পক্ষ দু’টি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করল। বৈঠকে তারা দেশ পরিচালনার জন্য জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পিএমএল-এনের প্রতিনিধিরা সরকার গঠনে পিপিপির সহযোগিতা চেয়েছেন। এর জবাবে পিপিপির নেতৃবৃন্দ পিএমএল-এনের নেতাদের বলেছেন, বৈঠকে উঠে আসা প্রস্তাবগুলো তারা তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা করবেন। সোমবার পিপির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এবং ভবিষ্যতে রাজনেতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পিএমএল-এন ও পিপিপি নীতিগতভাবে রাজনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।” উভয়পক্ষই রাজনৈতিক অস্থিশীলতা থেকে ‘দেশকে বাঁচানোর’ সংকল্প করেছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যে বহুদলীয় জোট ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল তার প্রধান দুই অংশীদার ছিল পিএমএল-এন ও পিপিপি। ইমরানকে হটানোর পর পিএমএল-এনের শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে পরবর্তী ১৬ মাস এই জোট সরকার পাকিস্তানকে শাসন করেছে। বিলওয়াল ওই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
https://www.kaabait.com