বিশেষ প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর সদর উপজেলাধীন শারিকতলা ডুমরিতলা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের রাহাত নামে এক যুবকের অটো রিক্সার ব্যটারী চুরি করে মহিষপুরা একটি আবুল হোসেন নামক এক ইজি বাইক ড্রাইভার বিক্রি করতে গেলে দোকানদার তাকে ২ ঘন্টা আটকে রাখে। দোকানদার বলে এই ব্যটারীতো আমি গাজীপুরের রাহাত নামে এক লোকের কাছে বিক্রি করেছিলাম,আপনি কোথায় পেলেন? অবুল হোসেন নানা কৌশলে লোকজনের ক্ষমতা দেখিয়ে দোকানদারের কাছ থেকে ছুটে আসে। সপ্তাখানেক পরে গাজীপুর গ্রামের
শহিদুল নামক এক লোক সেই দোকানে ব্যাটারী ক্রয় করতে গেলে দোকানদার বিষয়টা খুলে বলে এবং ঐ তারিখের সিসি টিভি ফুটেজ দেখায়। শহিদুল বলেন দোকানের সিসি টিভি ফুটেজে আমি আবুল হোসেনকে স্পষ্ট দেখতে পাই। এলাকায় এসে আবুল হোসেনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে সব অশ্বিকার করে এবং আমার উপর রেগে ওঠে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর আসলাম মোল্লা আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলে মোলফাত হাওলাদরের ছেলে মোঃআব্দুর রহিম আমার ইজি বাইক ভাড়া করে নেয়, এতে আমার কোন দোষ নাই।
কিছুক্ষণ পরে মেম্বার ক্ষুব্ধ হয়ে আবুল হোসেনের ইজি বাইক জব্দ করলে চুরি যাওয়া ব্যাটারীর দাম ২৫,০০০টাকা দিতে শিকার হয়। ২৫,০০০ টাকা নিয়ে আসলাম মোল্লা (মেম্বর) ভিক্টিম রাহাতের কাছে গেলে রাহাত শালিস বৈঠক ছাড়া টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে সমাজে’র নানা লোক নানা অভিযোগ তুলছে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। মানিক মাতুব্বরের ছেলে বলেন ,আমার জাল চুরি হয়েছে সেটাও আবুল হোসেন নিয়েছে। জাহাঙ্গীর মৃধা(সাবেক ওয়ার্ড মেম্বর) বলেন, এলাকার যতো শুপারি চুরি হয়েছে তাও আবুল হোসেনের গাড়ীতে বহোন করা হয়েছে। আবুল হোসেনের ছেলে সিফাত,কথিতো জেলা যুবলীগের সদস্য বাবু শেখ কে ডেকে আনলে, বাবু শেখ আবুল হোসেনের বিপক্ষে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন রাহাত গরিব লোক তাকে ব্যাটারী কিনে দেয়া হোক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা
যায়,আবুল হোসেন কে বাচিয়ে নেয়ার জন্য মোঃআফজাল হোসেন, মিরন খলিফা, কায়েস জমাদ্দার, মিঠু মোল্লা ও ছাদ্দাম সরদার ভিক্টিম রাহাত কে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
https://www.kaabait.com