
শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনাঃ খুলনা ডুমুরিয়ায় আমার গ্রাম আমার শহর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির আজ ও বাস্তবায়ন হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিশ্রুতির দলিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে গ্রাম হবে শহর।
‘আমার গ্রাম, আমার শহর’- এই ব্যতিক্রমধর্মী ধারণা একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ফলস্বরূপ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ‘আমার গ্রাম, আমার শহরে’র অর্থ হল গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক রূপ অটুট রেখে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া।
উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক শহরের সব সুবিধাদি দেয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। গ্রামে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আরও বাড়ানো এবং নির্ভরযোগ্য করার লক্ষ্যে গ্রুপভিত্তিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট ও সৌরশক্তি প্যানেল বসানোর কার্যক্রমকে উৎসাহ ও সহায়তা দেবে সরকার।
গ্রামপর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবা কেন্দ্র, ওয়ার্কশপ স্থাপন করে যন্ত্রপাতি মেরামতসহ গ্রামীণ যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণ করা হবে এবং এসবের মাধ্যমে গ্রামীণ যুবক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে শেখ হাসিনার সরকার। অ-কৃষি খাতের এসব সেবার পাশাপাশি হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাত করতে বেসরকারি খাতের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সুবিধাও দেয়া হবে। নতুন কর্মস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার যুবক বা যুব মহিলাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।
গ্রামে শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। পাকা সড়কের মাধ্যমে সব গ্রামকে জেলা-উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। ছেলেমেয়েরা উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। সুপেয় পানি এবং উন্নত মানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। সুস্থ বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে। গ্রামপর্যায়ে পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা।
উন্নত জীবনব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকার সন্ধানে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার নামে গ্রামের মানুষ আর শহরে ভিড় করবে না। দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে বিদ্যুৎ। আধুনিক শিক্ষায় আলোকিত হবে প্রতিটি গ্রাম। অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবা পৌঁছে যাবে প্রতিটি গ্রামে। আমার গ্রাম হবে আমার শহর। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় হবে ৫ হাজার ৪৭৯ মার্কিন ডলারের বেশি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার নেমে যাবে শূন্যের কোঠায়। কিন্তূ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামে আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির আমার গ্রাম আমার শহর কোন উন্নয়নের ছোয়া মলেনি।