• বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪
সর্বশেষ :
God Mode pour Windows 10 ➤ Accédez facilement à tous les réglages Bluetooth Driver for Windows 10 ➤ Téléchargez et Installez Facilement সরকারি জমি দখল করে আওয়ামী লীগ নেতা রফিক খানের মার্কেট নির্মান; দ্রুত উচ্ছেদের দাবী আশাশুনিতে হ ত্যা মামলার আসামী ডাবলুসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন  বগুড়ায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা খুলনায় গ্রান্ট উইন্ডোর গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খু ন সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হ ত্যা নওগাঁ মান্দায় কৃষক হ ত্যা’র দায়ে ২৬জনের যাবজ্জীবন কা রা দ ন্ড দুঃশাসনের কবল থেকে দেশ ও জাতি মুক্ত হয়েছে : সাবেক সংসদ মোশারফ হোসেন বৃহত্তর বগুড়া সমিতির আহ্বায়ক মুকুল, সদস্য সচিব টিটু

প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৬ শতাংশ হবে, চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে: বিশ্বব্যাংক

প্রতিনিধি: / ৯৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, পরের বছরে যা কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক এই দাতা সংস্থা। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ -এ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কেমন থাকে, তার ওপর। বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে পারলে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক করা সম্ভব হলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যা নি¤œ আয়ের বড় সংখ্যাক মানুষদের সংকটে ফেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় মেটানোও অর্থনীতির জন্য অন্যতম চাপ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের উচ্চ সুদহার ভাবনার তৈরি করেছে। মুদ্রাবাজারে সঠিক ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, তা-না হলে রিজার্ভ সংরক্ষণ কঠিন হবে। আরও বলা হয়, যুব সমাজকে কাজে লাহাতে হবে, এক্ষেত্রে সঠিক নীতি গ্রহণ করতে হবে। কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সুদের হারের সীমা পর্যায়ক্রমে তুলে দিতে হবে। এছাড়া ব্যাংক খাতের কার্যকর তদারকির মাধ্যমে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এছাড়া পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে বিনিময় হারকে ধরাবাঁধার বাইরে রাখা, মুদ্রানীতি আধুনিক করা এবং রাজস্ব খাতের সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ বাংলাদেশ উন্নয়ন আপডেটে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ মহামারি থেকে একটি শক্তিশালী পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু মহামারি পরবর্তী পুনরুদ্ধার উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অর্থ প্রদানের ঘাটতির ক্রমাগত ভারসাম্য, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যাহত হচ্ছে। সংস্থাটি গত দুই বছরের গবেষণায় তুলে ধরেছে, বাংলাদেশের জরুরি আর্থিক সংস্কার, একক বিনিময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নত করতে এবং মুদ্রাস্ফীতি কমাতে রেট ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হবে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় হলে বাজারে চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে অবকাঠামোগত সংস্কার, মানবসম্পদ খাতে বিনিয়োগ, রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে এবং সরকার বাড়তি পদক্ষেপসহ মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগে কঠোর তারল্য অবস্থা, ক্রমবর্ধমান সুদের হার, আমদানিতে বিধিনিষেধ এবং ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুতের মূল্য এবং ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে। এজন্য আর্থিক খাত এবং রাজস্ব নীতি সংস্কার বাংলাদেশকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এদিকে চলতি অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশে। ভারতের পরই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভারত। এরপরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ হবে বাংলাদেশ। অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এরপর ভুটান ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, মালদ্বীপ ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, নেপাল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২ দশমিক ২ শতাংশ এবং পাকিস্তান ১ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় সামগ্রিকভাবে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলেও জানায় সংস্থাটি। সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন আপডেটে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া আগামী দুই বছরের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রæতবর্ধনশীল অঞ্চল হিসেবে থাকবে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে। ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হবে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্রমাগত কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ হুমকিস্বরূপ টেকসই প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেয়; কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জলবায়ু ধাক্কার মতো বিষয় এ অঞ্চলের সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের জন্য প্রবৃদ্ধি এখনো প্রাক-মহামারি স্তরের নিচে এবং তা জনসাধারণের ব্যয়ের ওপর নির্ভরশীল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের বৃদ্ধি দ্রæত মন্থর হয়েছে। এ অঞ্চলে দ্রæতবর্ধনশীল কর্মক্ষম জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিস্কা ওনসর্গ এই প্রতিবেদনে জানান, দক্ষিণ এশিয়া তার জনশক্তিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি সুযোগ হাতছাড়া করার মতো। যদি অঞ্চলটি অন্যান্য উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির মতো কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নিযুক্ত করে, তবে এর আউটপুট ১৬ শতাংশের বেশি হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা স্বল্পমেয়াদে উজ্জ্বল থাকবে। ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ধাক্কার কারণে কালো মেঘ দেখা দেবে। প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি জোরদার করতে হবে। তিনি জানান, এ অঞ্চলের দেশগুলোকে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে নীতি গ্রহণ করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অন্যান্য উন্নয়নশীল অঞ্চলের তুলনায় বেশি। ২০০০ সাল থেকে কর্মরত কর্মজীবী জনসংখ্যার অংশ কমছে। অন্যান্য উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতির অঞ্চলের ৭০ শতাংশের তুলনায় ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় কর্মসংস্থানের অনুপাত ছিল ৫৯ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়াই একমাত্র অঞ্চল যেখানে কর্মরত বয়সী পুরুষদের হার গত দুই দশকে কমেছে এবং এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম কর্মজীবী নারী রয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com