স্পোর্টস: আগের ম্যাচের যেখানে শেষ, এই ম্যাচে যেন সেখান থেকেই শুরু। ফর্মটাকে ধরে রেখে পারভেজ হোসেন ইমন উপহার দিলেন আরও একটি সেঞ্চুরি। এবার অবশ্য সেদিনের মতো দেড়শতে নিতে পারলেন না ইনিংস। তবে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে আরও একবার শক্ত ভিত গড়ে দিলেন তরুণ এই আগ্রাসী ওপেনার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রোববার বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ১১৪ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন পারভেজ। তার বড় ইনিংস মানেই বেশি ভাগ সময় ছক্কার ছড়াছড়ি। এই ইনিংসেও চার ও ছক্কা ৫টি করে। আগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১২৯ বলে ১৫১ রানের ইনিংসের পথে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৮ ছক্কা। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪৩ ইনিংসে তার ছক্কা এখন ৮০টি। এবারের লিগ শুরু করেছিলেন পারভেজ মিডল অর্ডারে খেলে। লিগের প্রথম ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও শাহাদাত হোসেন। পরের ম্যাচে যানজটর কারণে তামিম মাঠে যেতে দেরি করায় প্রিয় পজিশন ওপেনিংয়ে নামার সুযোগ পান পারভেজ। সেটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এই ম্যাচে পারভেজকেই ওপেনে রেখে দেওয়া হয় তামিমের সঙ্গে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শাহাদাতকে নামানো নয় মিডল অর্ডারে। তামিম ভালো করতে পারেননি। আউট হয়ে যান কেবল ৬ রান করেই। তবে পারভেজ ছিলেন স্বরূপেই। শুরু থেকেই সাবলিল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যান তিনি। তিনে নামা জাকির হাসান অবশ্য ক্রিজে গিয়েই দারুণ সব শট খেলে পারভেজকেও ছাড়িয়ে যান। ১৪ ওভার শেষে জাকিরের রান যখন ৩৯ বলে ৪৫, পারভেজ খেলছেন তখন ৩৪ বলে ২৩ রান নিয়ে। পঞ্চদশ ওভারে দুটি ছক্কা মেরে হাত খোলেন পারভেজও। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭৭ বলে ৭৯ করে জাকির আউট হয়ে যান। দুজনের জুটি থামে ১৫৭ রানে। পারভেজকে শতরানের আগে থামানো যায়নি। ফিফটি করেন তিনি ৬১ বলে। সঞ্জিত সাহার বলে সিঙ্গে নিয়ে তিন অঙ্কে পা রাখেন ১১৩ বলে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম ৪১ ম্যাচে তার সেঞ্চুরি ছিল একটি। এখন টানা দুই ম্যাচে করলেন দুটি। ইনিংসটি অবশ্য থেমে যায় সেখানেই। বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলামকে ¯øগ করে ধরা পড়েন তিনি লং অনে। শাহাদাত এ দিন ছয়ে নেমে ফেরেন ১ রানে। পাঁচে নেমে ২৯ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। আগের ম্যাচে ৩৮০ রান তোলা প্রাইম ব্যাাংক এবার ৫০ ওভারে করে ৩০৮ রান।
https://www.kaabait.com