স্পোর্টস: বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ দেখতে যাওয়ার কথা ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন তিনি। সমস্যার কথা শুনে ও দেখে সমাধানের কথা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে। এ সময় বিভিন্ন ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী এসে সরাসরি স্টেডিয়ামের মাঠে পা দিয়েছেন। সবকিছু দেখার ও জানার চেষ্টা করেছেন। এই স্টেডিয়াম যৌথভাবে ব্যবহার করে আসছে ফুটবল ও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। মাঠে সংস্কার কাজের মাঝে পানি ছিটানোর পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করে আসছিল বাফুফে। আজও নতুন মন্ত্রীর সামনে সেটা উপস্থাপন করা হয়েছে। যদিও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দিন আহমেদ উল্টো ফেডারেশনকে বিলম্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। স্টেডিয়ামের প্রেস বক্স নিয়েও রয়েছে আপত্তি। নতুন সংস্কার কাজে প্রেসবক্সের মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলার দৃশ্যমান। টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানদের জন্য বিশেষ জায়গা না থাকার বিষয়টিও সামনে আনা হয়। তবে সংস্কার কাজের দায়িত্ব পাওয়া পরামর্শকরা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। পৌনে এক ঘণ্টা পরিদর্শন শেষে নাজমুল হাসান পাপন নিজের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বলেছেন, ‘এখানে এসে দেখলাম মূলত দু’টি সমস্যা। একটি স্প্রিংলার (মাঠে পানি দেওয়ার মাধ্যম ) আরেকটি মিডিয়া বক্স। সমস্যা আছে অস্বীকার করার পথ নেই। সমাধানের পথ আছে কিনা দেখবো, সম্ভব হলে অবশ্যই করবো। তবে খুব একটা অসম্ভব বলে মনে হয় না।’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শত কোটি টাকার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের আগস্টের পর। সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন মন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে চাইলেন না, ‘কারও সঙ্গে কথা না বলে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারণ কথা বলতে গেলে এনএসসি না হয় কনসালটেন্ট কিংবা ফেডারেশন কারও ওপরে পড়বে। তাই ডকুমেন্ট না দেখে মন্তব্য করা যাবে না। যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করতে হবে।’ বাফুফের দাবি স্প্রিংলার বদলে পপ-আপ সিস্টেমে পানি দেয়ার। এতে কোটি টাকা নতুন করে ব্যয় হবে। তবে যেটাই হোক নতুন মন্ত্রী আশাবাদী কণ্ঠে বলেছেন, ‘সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমরা আর বিলম্ব করতে চাই না, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে চাই। এর মধ্যে যতটুকু সমাধান করা যায় করা হবে, না হলে নেই। কারণ, এটা স্টেডিয়ামের সংস্কার তাই অনেক কিছুই করা হয়তো সম্ভব না।’
https://www.kaabait.com