স্পোর্টস: প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হার প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এত বড় ব্যবধানের হার নিয়ে ফিরতে হবে, এমনটা ভাবনায় ছিল না দলের কারোরই। ৫-০ গোলের হার ভুলে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় আশা দেখছে বাংলাদেশ দল। ২৬ মার্চ নিজেদের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে অন্তত ইতিবাচক নৈপুণ্য কিভাবে দেখানো যায়, সেই ছক আঁকছেন হাভিয়ের কাবরেরা এবং তাঁর শিষ্যরা। কিংস অ্যারেনা বাংলাদেশ দলের জন্য পয়মন্ত। এখানে খেলা আগের চার ম্যাচের কোনোটিতেই হারেনি বাংলাদেশ। জিতেছে একটি এবং ড্র করেছে বাকি তিনটিতে। সেই সঙ্গে স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন বাড়তি সুবিধা দেবে জামাল-তপুদের। এই মাঠেই গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গ্রæপের আরেক শক্তিশালী দল লেবাননকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের বিপক্ষেও এমন কিছুরই আশা বাংলাদেশের। গত শনিবার কিংস অ্যারেনায় অনুশীলনের ফাঁকে হাভিয়ের কাবরেরা বলছিলেন, ‘আবারও বলছি, এখন সময় পর্যালোচনার, বিশ্লেষণের এবং শেখার। ইতিবাচক দিকগুলো নিতে হবে, নিশ্চিতভাবে কিছু বিষয় মানিয়ে নিতে হবে। ফিরতি লেগে নিজেদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, চাহিদা আরো বেশি হতে হবে। আমরা জানি, নিজেদের মাঠে আমরা আরো বেশি শক্তিশালী।’ আগের ম্যাচে প্রথম গোল হজমের আগে ফিলিস্তিনের চোখে চোখ রেখেই লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গোলের পরেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। মনোযোগের ঘাটতির কারণে এমন বিপর্যয় কি না, প্রশ্নের জবাবে তপু বর্মণ বলছেন, ‘আমি মনে করি, মনোযোগে ঘাটতি ছিল না। বিশেষ কোনো সমস্যা আমাদের ছিল না। রক্ষণ জমাট রাখতে পারিনি। এটাই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।’ তপুর আশা, ঘরের মাঠে এমন ভুল আর করবেন না, ‘অবশ্যই এখানে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমাদের আরো সুসংগঠিত হতে হবে।’ কাবরেরাও বিশ্বাস রাখছেন তপু-বিশ্বনাথদের ওপর, ‘আসলে বিষয়টি আমাদের দুর্বলতার নয়, তার চেয়ে বরং ফিলিস্তিনের মানের। ছেলেদের প্রতি আমার পুরো আত্মবিশ্বাস আছে। কোনো অভিযোগ নেই তাদের প্রতি।’
https://www.kaabait.com