• রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০

ভারতীয় নৌবাহিনীর এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত জাহাজের গতিরোধ

প্রতিনিধি: / ১৩৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪

আন্তর্জাতিক: ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপক‚লে জলদস্যুদের ব্যবহৃত মাল্টিজ-পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ রুয়েনকে রুখে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বর্তমানে এই জাহাজে থাকা সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ এবং সেখানে কোনো জিম্মি থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে জলদস্যুরা এ জাহাজটি ব্যবহার করেছিল। শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদস্যুদের দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত কার্গো জাহাজ রুয়েনকে বাধা দিয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সোমালি জলদস্যুরা কার্গো জাহাজটি ছিনতাই করে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ মাল্টিজ পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজটিকে বাধা দেয়। জলদস্যুদের দখলে থাকা জাহাজটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে গুলি চালায়। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছে এবং জাহাজটিতে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে যোগ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার জানায়, সোমালি জলদস্যুরা গত ডিসেম্বরে মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন দখল করে। তারা এ সপ্তাহে সোমালিয়ার উপক‚লে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ দখলে এটি ব্যবহার করে থাকতে পারে। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলছে, এমভি আবদুল্লাহকে যখন ছিনতাই করা হয়, তখন রুয়েন মাত্র ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং পূর্বদিকেই যাচ্ছিল। মেরিটাইম সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা এ সংস্থাগুলোর শঙ্কা, মাল্টিজ জাহাজ রুয়েনকে জলদস্যুরা ছিনতাইয়ের কাজে মাদার ভ্যাসেল হিসেবে ব্যবহার করছে। যদিও একজন বাদে ওই জাহাজের ১৬ নাবিক এখনো জিম্মি আছেন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপক‚ল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারাকাড উপক‚ল থেকে ২০ মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে। পরে সেটি আরও এগিয়ে উপক‚লের ৭ মাইলের মধ্যে অবস্থান নেয়। কিন্তু গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ জাহাজটি আরারও চলতে শুরু করে। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাড থেকে গোদবজিরান উপক‚লে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগের অবস্থান থেকে এটি প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে। বর্তমানে জাহাজটি উপক‚ল থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com