হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রঙ বেরঙের ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে হাজারো মানুষের ঢল নামে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। দেশের সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ঢেকে যায় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি। স্মৃতিসৌধে ঢল নেমেছে সব বয়সী মানুষের। ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।
বুধবার সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের রাজা এবং প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা হৃদয় নামের এক যুবক বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দিয়েছেন দেশের জন্য প্রাণ তাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।
কালিয়াকৈরের একটি স্কুলের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই দিনটাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এলে অনেক ভালো লাগে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারলে আত্মা তুষ্টি পায়। আমার মতো অনেকেই আজ স্মৃতিসৌধে এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। রমজান মাস হওয়ায় সেহরি খেয়ে না ঘুমিয়েই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হয়েছি।
এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরাসহ সাদা পোশাকেও পুলিশের নজরদারি রাখা হয়েছে সৌধ এলাকায়।
https://www.kaabait.com