মেজবাহ ফাহাদ: পানগুছি নদী আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা। সুন্দরবনের অংশ বিশেষ রয়েছে এ উপজেলায়, সুন্দরবন আধ্যুষিত মোরেলগঞ্জে পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতেই মাছের দাম আকাশ ছোয়া,সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে,বিক্রেতারা বলছেন তাদের বেশী দাম দিয়ে মাছ কিনতে হচ্ছে,বর্তমানে চাহিদার তুলনায় মাছের উৎপাদন অনেক কম,ফলে বেশী দামেই ক্রেতারা মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছে।এদিকে গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।স্হানীয় উৎপাদিত সবজির দামেও আগুন।
আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদানুযায়ী ভাল মাছ মিলছেনা। মোরেলগঞ্জে উৎপাদিত বেশীর ভাগ মাছ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাওয়ায় স্থানীয় ভোক্তাদের বেশী দামে মাছ কিনতে হয়।রমজানে সল্প আয়ের ক্রেতাদের মাছ কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মোরেলগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ইলিশ বড় ৩০০০ টাকা,মাঝারি ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, কোড়াল ১২০০ টাকা,গলদা বড় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, টেংরা ৯০০ টাকা,পাসসে ৯০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, রুই ৪০০ টাকা, কাতলা ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের জন্য বছরে মোট মাছের চাহিদা ৬ হাজার ৮শত মেট্রিক টন।প্রতিবছর উৎপাদন হচ্ছে ১০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। বছরে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে। মাছ চাষ ও উৎপাদনের জন্য উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার খাল,বিল,পুকুর,জলাশয়, মাছের খামার রয়েছে। উপজেলায় মোট মাছ চাষীর সংখ্যা ১১ হাজার ২শত জন।
গ্রাম থেকে বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসলে তাদের আড়ৎদার সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করতে হয়,সরাসরি মৎসচাষীরা মাছ বিক্রি করলে হয়তো মাছের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকতো।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় রায় জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় কয়েক লাখ টাকার মাছ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদিত মাছ একটি চক্র রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্হানে বেশী দামে বিক্রি করছে, ফলে স্হানীয় বাজারে মাছের চাহিদা পুরন হচ্ছে না।রমজানে মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি
https://www.kaabait.com