আন্তর্জাতিক: যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের কোম্পানি ও ব্যক্তিদের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, চীনের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। তাছাড়া চীনের উন্নয়নে যেন বাধা না দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব উল্লেখ করে বিøঙ্কেনকে ওয়াং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী পদক্ষেপগুলো ওয়াশিংটনের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। তাছাড়া তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতিশীলতা চায় তাহলে তাকে এক-চীন নীতি মেনে চলতে হবে। চীনের আধিপত্যকে জানান দিয়ে ওয়াং বলেন, বিশ্বে চীন একটাই। আর তাইওয়ান চীনের অংশ। এদিকে, তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না। ওয়াং ও বিøঙ্কেনের আলোচনার ধরন ব্যাখ্যা চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুই জনের মধ্যে অকপট, সারগর্ভ ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে শুধু বলেছে, ইউক্রেন সংকট এবং কোরীয় উপদ্বীপসহ আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেছেন তারা। জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ বাইডেন প্রশাসন বলেছে, চীনের কিছু প্রযুক্তি বিক্রির প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এই পদক্ষেপের ভিত্তিতে চীন অভিযোগ করে বলেছে, অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে ‘অস্ত্রীকরণ’ করছে দেশটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইদানীং চীন-মার্কিন সম্পর্কে উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কারণ বহু বছর পর তারা নতুন করে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। দুই বৈশ্বিক পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশকে ধরেই ভালো না। তবে এখনও অনেক ঝামেলা আছে তাদের মধ্যে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার অভিযোগে চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও জিনজিয়াং অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
https://www.kaabait.com