• সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১
সর্বশেষ :
মণিরামপুরে ছোটস্ত্রীকে জ বা ই করে হ ত্যার অভিযোগ দেবহাটার সখিপুরে তুচ্ছ ঘটনায় ভাই ও তার স্ত্রী পুত্রের মারপিটে জ খ ম, হাসপাতালে ভর্তি খুমেক হাসপাতালে সাংবাদিককে মারধরের অ ভি যো গ শ্যামনগরে জনবসতি এলাকায় আগুনে শুকানো হচ্ছে কাচামাছ,শ্বাসকষ্টসহ মহা মা রীর আশাংকা মির্জাপুরে গরু বোঝাই আলমসাধু উল্টে চালক নি হ ত, আ হ ত ভাতিজা পাটকেলঘাটায় ব্যোরো মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন ডুমুরিয়ায় শোলমারি সুইসগেট ও ভরাট নদী পরিদর্শনে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম ঘা ত ক পরিবহন কেড়ে নিল মা ছেলে প্রাণ ডুমুরিয়ায় মজিদিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং রিডিং সহকারী শ্যামলীর বিরুদ্ধে অসৎ আচরণ অনিয়ম ও দু র্নী তির অভি যো গ

লো প্রেশার এর লক্ষন,কারণ ও প্রতিকার

প্রতিনিধি: / ২২৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্বাস্থ্য: উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের সমস্যা যেমন সত্যিই চিন্তার কারণ, চিকিৎসকরা বলছেন ঠিক তেমনই লো-প্রেশার বা হাইপোটেনশনের ফলেও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। মেডিকেল সায়েন্স অনুসারে ১২০/৮০ হল নরমাল প্রেশার। এই প্রেশার যখন কমে ৯০/৬০ হয় তখন তাকে লো-প্রেশার বা হাইপোটেনশন বলা হয়। লো-প্রেশার সেই অর্থে নিজে কোনো ভয়ঙ্কর বড় সমস্যা না হলেও, এর প্রভাবে শরীরের অন্যান্য কমজোরি বা অসুখ আচমকা বেড়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেকের ক্ষেত্রেই লো-প্রেশার কোনো সমস্যা তৈরি করে না। তবে কিছু লোকের ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে শরীর দুর্বল করে দেয়।
লো-প্রেশারের লক্ষণ:
যাঁদের প্রেশার লো তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ দুর্বল হন। সবসময় মাথায় ঝিম ধরা ভাব, ক্লান্ত-অবসন্ন শরীর, আচমকা মাথা ঘুরে যাওয়া, চোখের সামনে হঠাৎই অন্ধকার দেখা এইসব সমস্যা হয়ে থাকে। আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও থাকে।
গা-গোলানো বা বমি পাওয়ার ভাব থাকলে লো-প্রেশারের কারণে।
সবসময় জল তেষ্টা পায়। গলা-ঠোঁট শুকিয়ে থাকে।
কোন কোন সময় আচমকা প্রেশার নেমে যেতে পারে:
হঠাৎ কোনো শক পেলে, ট্রমায় চলে গেলে বা রক্তক্ষরণ দেখলে প্রেশার ফল করতে পারে অর্থাৎ একধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। এর জেরে বড় বিপদ হতে পারে। অন্তঃসত্ত¡া থাকাকালীন প্রথম ২৪ সপ্তাহ মহিলাদের প্রেশার কমে যায়। পরে অবশ্য তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। হার্টের সমস্যা থাকলে, হার্ট অ্যাটাক হলেও প্রেশার আচমকা কমে যেতে পারে। শরীরে জল কমে গেলে অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন হয়ে গেলে প্রেশার কমে যায়। সাধারণ জ¦র হলে, পেটের সমস্যায় কিংবা একাধিক বার বমি হলে বা ডায়রিয়া জাতীয় সমস্যায় প্রেশার কমে যায়।
দীর্ঘক্ষণ ওয়ার্ক-আউট করলেও প্রেশার ফল করতে পারে।
এছাড়া খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, অপুষ্টি, ভিটামিনের অভাব এবং ভুল ওষুধ বা অনেকদিন টানা এক ওষুধ খাওয়ার ফলেও প্রেশার কমতে পারে।
সাবধান হতে কী কী করবেন: প্রথমে চিন্তা দূর করুন। মানসিক ট্রমা কাটিয়ে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করুন। উচাটন কমান। এ ক্ষেত্রে রোগীর আশেপাশের লোকেদেরও খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো কারণেই রোগীর মানসিক শান্তি বিঘিœত না হয়। শান্ত পরিবেশে থাকতে হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করুন। প্রয়োজনে ওষুধ খাবেন, তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শে। শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। খুব বেশি দৌড়ঝাঁপ না করাই ভাল। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়াবেন না। কখনই একটানা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে বসে বিশ্রাম নিন।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com