সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী শাহ আলমকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ( ৩রা নভেম্বর ) সকাল ১১টা প্রেসক্লাব হল রুমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী পরেশ কুমার গায়েন,নিমাই রপ্তান, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী শাহ আলমের পক্ষে কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম খোকন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আফতাবুজ্জামান (বাবু), কৈখালীর ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশিদুল ইসলাম,৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহাবুব আলম খোকন বলেন,গত ২রা নভেম্বর শনিবার কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৯ অক্টোবর নামসর্বস্ব ইউটিউব চ্যানেল অগ্রযাত্রা ও এবি লাইভ ফেইসবুক পেজ থেকে কৈখালী ইউনিয়নে বিএনপি মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী শাহ-আলমকে জড়িয়ে প্রতিবেদককে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও অসম্মান জনক তথ্য পরিবেশন করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে যা ব্যক্তি ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপ্রায়াশ। শুধু তাই নয় কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের দোসর,হত্যা,ধর্ষন, চাঁদাবাজি,চেক জালিয়াতী সহ বহু মামলার আসামী শেখ আব্দুর রহিম পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছে। এছাড়া বিএনপি সভাপতি আবুল খায়ের মল্লিক ব্যক্তি আক্রোশ থেকে মিথ্যা,ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এছাড়া শেখ আব্দুর রহিম চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে অপসারন ও গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে বিএনপি সভাপতি খায়ের মল্লিককে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ী পরেশ কুমার গায়েন ও নিমাই রপ্তান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের রাতে সারাদেশের নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। ঐ রাতে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতিকারীর দ্বারা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি খায়ের মল্লিক ও ইউপি চেয়্যারম্যান শেখ আব্দুর রহিম এবি লাইভ ফেইসবুক পেজ ও অগ্রযাত্রা ইউটিউব চ্যানেলে কৈখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যানপ্রার্থী গাজী শাহ-আলম ও তার নেতাকর্মীদের জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে, রাজনৈতিক স্বার্থ হাছিলের জন্য যে মিথ্যা তথ্য ও বক্তব্য প্রদান করেছে তা আদৌ সত্য নয়।
গাজী শাহ-আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক ছিলাম। বিগত ২০১৪ সাল মানব সেবার ব্রত নিয়ে নিজের জন্মস্থানে ফিরে আসি এবং ২০১৬ ও ২০২১ সালে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শ বুকে ধারন করে কৈখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করি, জনপ্রিয়তা থাকা স্বত্বেও আওয়ামী দুঃশাসনের কারনে ১৯৬ ভোটে পরাজিত হই।
কৈখালী ইউনিয়নে দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও বিএনপি সভাপতি খায়ের মল্লিক পরস্পর যোগসাযশে পরিকল্পিত ভাবে আমার জনপ্রিয়তায় ঈষাণিত হয়ে অর্থের বিনিময়ে হলুদ সাংবাদিক দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।এহেন প্রকাশিত তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা দ্রুত সংবাদপত্রের ডিক্লিরাশন বাতিল, কথিত সাংবাদিক সোহাগ সরদার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসন,পুলিশ ও সেনাবাহীনির দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়।