• সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫
সর্বশেষ :
শ্যামনগরে পুকুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৪পিচ দেশীয় অ স্ত্র উ*দ্ধার মসজিদের ইমাম’কে মা*রধোরের অভি যো গে কালাম দফাদার আ ট ক শ্যামনগরে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সং ঘ র্ষে গুরুতর আ হ ত ৩ খুবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় দেবহাটার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘দরদি’ ডুমুরিয়া ইমাম পরিষদের উদ্যোগে ইসরাইলের আগ্রাসানের প্রতিবাদে বি ক্ষো ভ মিছিল দেবহাটার ইছামতি নদীর ভাঙ্গনে বদলে যাচ্ছে মানচিত্র, হুমকির মুখে রুপসী ম্যানগ্রোভ দেবহাটা উপজেলায় বোরো ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ নদীতে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ অবমুক্ত দেবহাটায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এক পরীক্ষার্থী ব হি ষ্কার পাটকেলঘাটা আমিরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত এডহক কমিটির সভাপতিকে সংবর্ধনা প্রদান

শ্যামনগরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডসেডিংয়ে অতিষ্ট এলাকাবাসী

এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১২২ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪
লোডশেডিং

শ্যামনগরের বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড সেডিংয়ে অতিষ্ট এলাকার মানুষ । প্রতি দিন রাতে ২০/২৫ বার বিদ্যুৎ আসে আর যায়। একবার গেলে ১ঘন্টা পর আসলেও থাকে ৫ মিনিট আবার চলে যায় এযে এক মহা তামাশা দেখাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।এলাকাবাসীর ভাষ্য, অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা। ফ্রিজ সব বন্ধ হয়েগেছে।ফ্রিজে রক্ষিত সকল খাদ্যদ্রব্য পচে নষ্ট হয়েগেছে।মিল কল কারখানা বন্ধ থাকায় সকল প্রকার উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। বরফ উৎপাদন না হওয়ায় সাদা সোনা চিংড়িতে পচন ধরে কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছে চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। তবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিদ্যুতের কোনো প্রকার ঘাটতি নেই। যেহেতু ঘাটতি নেই, তাই লোডশেডিং থাকারও কথা নয়।

 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্যামনগরের পরিচালক কচি বলছেন শ্যামনগর এলাকার চাহিদা রয়েছে ১৮ মেঘাওয়াট কিন্ত আমরা পাচ্ছি ৬ থেকে ৯মেঘাওয়ার্ট।যে কারনে লোডশেডিং লেগেই আছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী এলাকার বিদ্যুতের গ্রাহক মোহম্মদ আলী বলেন, দিনে ২০/২৫ বার এবং রাতে বার বার যায় আসে ।আসলে ও ৫ মিনিট ও থাকে না । ৫মিনিট বিদ্যুৎ থাকলে ২০ মিনিট বন্ধ থাকে। ভ্যাপসা গরমে কষ্টের শেষ নেই তাঁদের ।তিনি বলেন, এর চেয়ে পিডিবি ভাল ছিল ভোলটেজ কম থাকলেও সারাদিন বিদ্যুৎ থাকতো ।

 

রমজাননগর গ্রামের আনোয়ারুল সরদার বলেন,একসময় ২ টাকা ইউনিট ছিল এখন তো কয়েকগুন বৃদ্ধি হয়েছে তার পরও এত ঘাটতি কেন । সরকারের মন্ত্রী এমপি এবং বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন ঘাটতি না তবে সেগুলো যাচ্ছে কোথায় আমরা পাচ্ছি না কেন। শুধু শ্যামনগর নয় নয়, অন্য এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরাও বিদ্যুতের ভোগান্তির কথা জানান। কালিগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের গ্রাহক রেজাউল বলেন, আগে দিন-রাত মিলিয়ে ২/১ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকত না। এখন সারাদিন রাত যায় আর আসে মোবাইলটা ও পাশের বাড়ীর জেনারেটরে চার্জ দিতে হচ্ছে। দিন-রাত মিলিয়ে ২ ঘণ্টার বেশী বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন দিলেও সব সময় ব্যস্ততা দেখা যায়। কি যে দুর্ভোগে আছেন মানুষ , তা বলে শেষ করা যাবে না।

 

শ্যামনগর পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি পৌর এলাকার বাসিন্দা হওয়ার পরও মোবাইল ফোন পর্যন্ত চার্জ দিতে পারি না । ২৪ ঘণ্টায় ২থেকে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ভোগান্তির যেন শেষ নেই। শংকরকাটি গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী সাদেক মোল্লা বলেন, বিদ্যুতের উন্নয়ন হয়েছে কোন ঘাটতি নেই তাদের বাড়ীতে রয়েছে জেনারেটর এজন্য তারা বিদ্যুতের খোজ খবর রাখে না ।সাতক্ষীরা এলাকাতেও লোডশেডিং আছে। তবে গ্রামের তুলনায় অনেক কম।

 

শ্যামনগর বাদঘাটা এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সারা রাত বিদ্যুতের লোড সেডিং ছিল সকালে একটু ১০মিনিটের জন্য এসছিল তাতে কোন রকম ফোনটা একটু চার্জ দিয়েছি। পরের দিনগুলো কিযে হবে তা নিয়ে আতঙ্কে আছি।বিদ্যুৎ বিতরণের কাজে নিয়োজিত সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)সঞ্জয় কুমার বলেন, শ্যামনগরে কোনো লোডশেডিং নেই। তবে লাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কাজ করতে হচ্ছে। এতে গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।শ্যামনগর সদর ইউনিয়নেরনর সোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একসময় ঝড় বৃষ্টি হত কিন্ত বিদ্যুৎ এত যেত না এখন মেঘ হলেই বিদ্যুৎ চলে যায় ।শ্যামনগরবাসী বলছে কোন দিন কি শ্যামনগরে বিদ্যুতের উন্নয়ন হবে।


এই বিভাগের আরো খবর

https://www.kaabait.com