শ্যামনগরে মৎস্য ঘের জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন
এস এম মিজানুর রহমান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
/ ৭৬
দেখেছেন:
পাবলিশ:
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
শেয়ার করুন
ঘের জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মৎস্য ঘের জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেসার্স গউর এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে ১৯ই মে রবিবার সাড়ে ১১ টায় শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন খলিশাবুনিয়ায় ২৬০ বিঘা জমি দখলকৃত মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার সময় খলিসাবুনিয়ার রাস্তা ভেঙে কয়েক শত বিঘা জমি নদীর চরের সাথে মিশে যায়। পরবর্তীতে ২৬০ বিঘা জমি বাদ দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য রিং বেড়িবাধ তৈরি হয়। আর ঐ ২৬০ বিঘা জমি নদীর সাথে মিশে যাওয়ায় জোয়ার ভাটা বইতে থাকে।
তখন ঐ সকল জমির মালিক গণ জমি রক্ষা করতে না পেরে কালীগঞ্জের মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল সাত্তার মোড়ল এর কাছে ডিড দেয়। শর্ত থাকে ঘেরে বাঁধ দেওয়ার পর থেকে ৪ বছর কোন হারি দিবে না, ৪ বছর পর থেকে হারি দিবে। কিন্তু সাত্তার মোড়ল বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করলেও প্রবল জোয়ার ভাটার কারনে বাঁধ সম্পূর্ণ করতে না পেরে ছেড়ে চলে যায়।পরবর্তীতে সাতক্ষীরার ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর একই চুক্তিতে এসে ঘেরের বাঁধ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু কয়েক বছর ঘের করার পর আবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ফেলে রেখে চলে যায়। সেখান থেকে ২ বছর পর জমির মালিকগন মিজানুর রহমানের কাছে ২০২১ সালে ঘেরের জমি হস্তান্তর করে ২০২২ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়। মিজান ২০২১ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় করে বাঁধ দিয়ে ঘেরের জমি রক্ষা করে ঘেরে মাছ চাষ শুরু করে কিন্তু বার বার বাঁধ ছুটে যাওয়ায় কোটি টাকার ওপরে খরচ করে। জমির হারির টাকা দিতে না পারায় কারণে কতিপয় জমির মালিক মুজিবুর আইয়ুব মোল্যা, সাইফুল মোল্লার নেতৃত্বে ২৬শে এপ্রিল ১/২ শত লাঠিয়াল বাহিনী ছোট ৩ টা বাসা সহ ঘেরের মেইন বাসা ভাঙচুর করে একটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয় ও ঘেরের মাছ লুট করে । ফলে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
জমির মালিক আবুল কালাম মোল্লা বলেন, আমাদের চার ভাইয়ের মোট ছয় বিঘা জমি রয়েছে কিন্তু মিজান এতো বছর ধরে আমাদের জমির হারি না দেওয়ায় আমরা আমাদের জমি দখলে নিয়েছি, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমাম হাসান বলেন, জমির মালিক ও ডিড মালিকদের মধ্যে দীর্ঘদিন গোলমাল চলে আসছে। ঘের মালিক ও জমির মালিকদের মধ্যে যেকোনো সময় রক্তখয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দাবি এর একটা সুষ্ঠ নিষ্পত্তি তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার তা না হলে এখানে একটা খুন খারাপি হতে পারে।