
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালীতে যৌতুক লোভী আশরাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শ্যামনগর থানায় মামলা নং ২০। গৃহবধূ কে যৌতুক দাবী করে তাকে গালি-গালাজ করা সহ শারীরিক ও মানসিকভাবে জ্বালা যন্ত্রনা দেয়ার অভিযোগ শ্যামনগর থানায় মামলা করা হয়। মামলা সূত্রে প্রকাশ, মামলাটি দায়ের করেন- টেংরাখালী গ্রামের মৃত আছের আলী সরদারের পুত্র মোঃ ছিদ্দিক আলী (৪৬)।
তিনি অভিযোগে জানান, গত ০১/০৫/২০২৪ তারিখে সোরা গ্রামের জামির আলীর পুত্র মোঃ আশরাফ হোসেন এর সাথে ছিদ্দিক আলীর কন্যা মোছাঃ শিরিনার ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর আশরাফ কে নগদ ২ লক্ষ টাকা, স্বর্ণের আংটি, টার্চ মোবাইল, লক্ষাধিক টাকার সাংসরিক বিভিন্ন জিনিস পত্র প্রদান করেন ছিদ্দিক আলী। বর্তমানে মটর সাইকেল ক্রয় বাবদ আরো ২লক্ষ টাকা দাবী করলে শিরিনার সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ টাকা যৌতুক দাবী করে তাকে কারণে-অকারণে গালি-গালাজ করা সহ শারীরিক ও মানসিকভাবে জ্বালা যন্ত্রনা দিয়ে আসতে থাকে। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দিলে সে অন্যত্রে বিয়ে করে যৌতুক নিবে বলে জানিয়ে তাকে তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার জন্য খাওয়া পরা কষ্ট দেওয়া সহ দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এতে সহায়তা করেন আশরাফের ভাই মোশারাফ হোসেন, মাজহারুল ইসলায় ও তার স্ত্রী রুমা খাতুন। যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ রাত্র প্রায় ১০ টার দিকে শিরিনা কে পিত্রালয় পাঠাতে না পেরে জোর পূর্বক তাকে এলোপাতাড়ীভাবে বেপরোয়া মারপিট করে তার ডান ঘাড়ে, মাথার ডান পাশে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোলা ফোলা, রক্তাক্ত ও বেদনাদায়ক জখম করে।
স্থানীয়রা জখম অবস্থায় শিরিনাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। আশরাফ আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। এব্যাপারে যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।