ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে প্রায় ৫বছর আগে। স্যালো মেশিনের ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি নছিমনে ভাড়া খেটে আয় করা টাকা দিয়ে আব্দুল আলিম মাংস কিনে ফিরছিল বাড়ির উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে সাতক্ষীরা খুলনা সড়কের তালতলায় পৌছালে একটি কুকুরকে বাচাতে গিয়ে নিজে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এসময় তার মাথায় মারাত্বক যখম হয়। স্থানীয়রা তাকে সে সময় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্মরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালের মেঝেতে কেটেছে দীর্ঘদিন তার। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হলেও মানসিক প্রতিবন্ধি হয়ে জীবন-যাপন করছে। তবে প্রতিবন্ধি হলেও বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সহায়তা সে পায়নি। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে। ব্যক্তি জীবনে সে ৫ সন্তানের জনক।
প্রতিবেশি বেলাল হোসাইন জানান, ইঞ্জিন ভ্যান চালিয়ে জীবন-যাপন করতো আলিম ভাই। ব্যক্তি জীবনে তিনি বেশ রশিক প্রকৃতির ছিলেন। কয়েক বছর হল তিনি ও তার পরিবার চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। সুস্থ হয়ে সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক সেটায় আমাদের চাওয়া।
আলিমের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, কয়েক বছর আগে একটি কার্ডের জন্য খুব চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের অভাবের সংসার। নূন আনতে পানতা ফুরায়। স্বামীর জন্য ঠিক মত ওষুধ কিনতে পারছি না। ছেলেরা যে যার মত আলাদা সংসার করে। সরকারী সহায়তা পেলে খুবই উপকৃত হবো।
এবিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুজ্জামান মুকুল জানান, আলিমের পরিবার আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে কিভাবে বা কার মাধ্যমে চেষ্টা করেছিল সেটা আমার জানা নেই। আমি নির্বাচিত হয়ে তাদের পরিবারে একটি মাসে ৩০কেজি করে চালের কার্ড করে দিয়েছি। সম্প্রতি সার্ভার বন্ধ ছিল। সার্ভার চালু হলে তার প্রতিবন্ধি কার্ডের আবেদন করাসহ সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মনোজ কান্তি রায় বলেন, এতদিন কেন প্রতিবন্ধি কার্ড হয়বনি, সেটা আমার জানা নেই। নতুন করে আবেদন করে আমাদের অফিসে পাঠালে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
https://www.kaabait.com