• শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৯
সর্বশেষ :
তালায় শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি পূজা মন্ডপের অনুকুলে সরকারী সহায়তা প্রদান দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২ সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়ে ব্যাখ্যা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির মতবিনিময় সভা  ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসন বগুড়ায় ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতায় মাছ চাষিদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি চরাঞ্চলে পতিত জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষে ব্যস্ত সময় করছেন কৃষকরা শ্যামনগরে দশম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  ডুমুরিয়ায় সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন দেবহাটায় ইউএনওর বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা 

স্যাটেলাইট নিয়ে সুন্দরবন থেকে পালিয়েছেএকটি কুমির

প্রতিনিধি: / ১১৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সৈয়দ শওকত হোসেন,,বাগেরহাট: কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিলো। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের ভিতরে ঘুরে বেড়ালেও এর একটি কুমির বন ছেড়ে মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ হয়ে এখন পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করমজল বণ্য প্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির।
 আজাদ কবির এ প্রতিবেদক কে বলেন ‘ সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পরে দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরে ঘোরাফেরা করছে। মাত্র এগারো দিনে প্রায় একশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি।
গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে কুমিরটি বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত   পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।
আজাদ কবিরের মতে , নির্দিষ্ট সময় পর হয়তো আবারো সুন্দরবনে ফিরে আসতে পারে কুমিরটি। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।
গত ১৬ মার্চ স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিলো সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এর আগে এ কুমিরটিরে ঝালোকাঠি জেলার একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিআইজেড)।
তিনি বলেন, “সুন্দরবনের কুমির কোথায়, কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোন গবেষণা হয় নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে এই গবেষণাটি করা হচ্ছে”।
বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজীর রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম করা হচ্ছে।
গত ১৩ থেকে ১৬ই মার্চের মধ্যে মোট চারটি লোনা পানির কুমিরে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এই চারটি কুমিরের মধ্যে দুটি পুরুষ এবং দুইটি স্ত্রী কুমির।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com