বহিরাগত হলুদ সাংবাদিকদের অপ তৎপরতায় আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন অফিস, প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বৈষম্য, অন্যায় ও দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্য অর্জনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে নতুন করে স্বাধীনতার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন, আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজ সারা দেশে ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে নিয়ে তৎপর রয়েছেন। সকল সেক্টরে নতুন ইমেজ তৈরিতে চিন্তাভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সেনাবাহিনী বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে মাঠে রয়েছেন। এমন একটা আশাব্যঞ্জক পরিবেশের মধ্যেও বহিরাগত কিছু হলুদ সাংবাদিকের অপ তৎপরতায় আশাশুনির বিভিন্ন এলাকার সরকারি অফিস, কারখানা, ইটভাটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাতক্ষীরা থেকে একটি মোটর সাইকেলে চেপে তিন সাংবাদিক (তাদের নামের আদ্যাক্ষর ‘ই’ ‘আ’ ও ‘লা’) বিভিন্ন ভূমি অফিস, বেকারী কারখানা, ইটভাটাসহ অন্যান্য অফিস ও প্রতিষ্ঠানে তথ্য নেওয়ার নাম করে গমন করেন। নানা কথাবার্তার পর যাতয়াত খরচ ও লাঞ্চের কথা বলে বড় অংকের টাকা দাবী করেন। না দিতে চাইলে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা, ফেসবুক চ্যানেল বা প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি পর্যন্ত দেখান হয়ে থাকে বলে তারা অভিযোগ করেন।
ইতিপূর্বে বুধহাটার বেকারী কারখানায় চাঁদাবাজী করতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সিসি ক্যামেরার রেকর্ড করা ভিডিও ও কারখানা মালিকের ভাষ্যমতে, মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন জেলা ব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। আরেকবার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের সোদকনা গ্রামের ইটের ভাটায় চাঁদাবাজী করতে গেলে তিনি ৩ সাংবাদিককে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে মুচলেকা দিয়ে তারা রেহাই পান।
ভুক্তভোগিরা জানান, ছলছুতো খুজে চাঁদাবাজীর কারনে তারা খুবই বিচলিত। দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযুক্ত সাংবাদিকরা অবৈধ পন্থাবলম্বন করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে অকথা কুকথা ও মিথ্যাচার করে মান সম্মান হানি করারমত পরিস্থিতির উদ্ভব করতে পারে। এমন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন অনেকে। তারা ‘ই-আ-লা’ নামের তিন হলুদ সাংবাদিকের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক সংগঠন ও মিডিয়া সম্পাদকগণের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
https://www.kaabait.com