স্পোর্টস: বিপিএলের শিরোপা লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চেনা দুই পরীক্ষিত সেনানীকে দলে পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শক্তি-সামর্থ্যে এমনিতেই দাপুটে দলটি আরও সমৃদ্ধ হলো আন্দ্রে রাসেল ও সুনিল নারাইনকে পেয়ে। বিপিএলের চলতি আসরে খেলতে বাংলাদেশে এসেছে শনিবার চট্টগ্রামে টিম হোটেলে পৌঁছে গেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দুই মহাতারকা। সব ঠিক থাকলে কুমিল্লার পরের ম্যাচেই খেলতে দেখা যাবে দুই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে। গত আসরে দুজনই কুমিল্লার হয়ে খেলেছিলেন শেষ দিকের ৪টি করে ম্যাচ। এবার নিয়ে ষষ্ঠবার বিপিএলে খেলবেন নারাইন। প্রথমবার খেলেছিলেন তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়েই ২০১৫ আসরে। সেবার চারটি ম্যাচে খেলেছিলেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। পরে ২০১৭ ও ২০১৯ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেন তিনি। সবশেষ দুই আসরে খেলেন আবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। রাসেলের সঙ্গে বিপিএলের সংযোগ একদম প্রথম আসরেই। সেবার ঢাকা গø্যাডিয়েটর্সের হয়ে ৮টি ম্যাচে দেখা যায় তাকে। পরে ২০১৫ আসরে তিনটি ম্যাচ খেলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। পরে ২০১৬ ও ২০১৯ আসরে মাঠে নামেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে। ২০১৯-২০ বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসকে নেতৃত্ব দেন তিনি শিরোপা জয়ে। ২০২২ আসরে মিনিস্টার গ্রæপ ঢাকার হয়ে খেলে গত মৌসুমে আবার ফিরে যান কুমিল্লায়। এবারও তাই ঠিকানা সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি। বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলে এসেছেন রাসেল। সিরিজের শেষ ম্যাচে দলের বিপর্যয়ের মধ্যে ২৯ বলে ৭১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস তিনি খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে আবু ধাবি নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দেন তিনি। একই দলে খেলেছেন নারাইনও। রাসেল জাতীয় দলে চলে যাওয়ার পর নাইট রাইডার্সকে নেতৃত্ব দেন নারাইনই। কুমিল্লার বিদেশী ক্রিকেটারদের তালিকায় আগে থেকেই আছেন মইন আলি, উইল জ্যাকস, জনসন চার্লসের মতো তারকারা। এছাড়াও ক্যারিবিয়ান পেসার ম্যাথু ফোর্ড, ইংলিশ ব্যাটসম্যান ব্রæক গেস্ট আছেন তাদের দলে। ৯ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে আছে কুমিল্লা। তাদের প্লে অফে যাওয়া এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না হলেও বাস্তব কোনো শঙ্কা সেভাবে নেই।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com