খুলনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রথম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় সমাপনী কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টায় কৃষ সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চল খুলনা অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন পরিচালক(অবঃ), প্রশাসন ও অর্থ উইং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার কাজী আব্দুল মান্নান,
নোট স্পিকার একল্প পরিচালক, ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প,প্রকল্প পরিচালক ফজলুল হক মনি, প্রমুখ।
খুলনার জেলা কর্মকর্তা, ৯টি উপজেলা থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের বেশ ঝুঁকি রয়েছে।এই ঝুঁকি সেভাবে না থাকলেও এ জেলার কৃষকেরা আধুনিক কৃষিতে পিছিয়ে পড়ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উচ্চ তাপমাত্রা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের কারণে এ অঞ্চলের ফসলের জমিতে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ ঘটে, শুষ্ক মৌসুমে মিষ্টি পানির অভাব দেখা দেয়, শীতকাল থাকে কম সময়, মাটিতে বেশি দিন ‘জো’ ধরে রাখা যায় না। এসব কারণে রবি ও খরিপ মৌসুমে এ অঞ্চলের মোট ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমির মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর সাময়িক পতিত জমি ও ৬৬ হাজার হেক্টর স্থায়ী পতিত জমি সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাবাদী থাকে। এসব দিক বিবেচনা করে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি, উত্তম পানি ও মাটি ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় ও জলবায়ুর অভিঘাত সহনশীল ফসল ও ফসলের জাত চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের ফসলের উৎপাদন ও দানশীলতা বাড়ানো হবে এবং পতিত ও আংশিক অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় এনে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করা হবে।
কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি অংশীদার এবং উন্নত প্রযুক্তির সফল প্রয়োগকারীদের সাফল্যের উদাহরণগুলো অন্য কৃষকদের জন্য উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রকল্প মেয়াদে প্রকল্পভূক্ত উপজেলা পর্যায়ে ৯০টি কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করা হবে।
প্রকল্প পরিচালকের অনুমোদনক্রমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি অফিসার ৩ (তিন) দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজন করবেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ডিএই’র সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট উপপরিচালকবৃন্দ কৃষি প্রযুক্তি মেলা পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবেন।
প্রকল্প এলাকায় যেখানে লবণাক্ততাজনিত কারণে ও সেচের পানির অভাবে রবি এবং খরিপ-১ মৌসুমে অনেক জমি পতিত থাকে, সেখানে উপযোগী ৩০ শতাংশ জমির জন্য মিনি পুকুর খনন (২০ মিটার X১০ মিটার X৩ মিটার) বা ৬০০ ঘনমিটার আয়তনের ১ টি করে মোট ৭০০টি মিনি পুকুর খনন করে সেচের পানি সংরক্ষণ করা হয়েছে ।এবং প্রকল্পের উপযুক্ত প্রদর্শনী বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশল হিসেবে লবণাক্ত বা পতিত জমিতে এর দ্বারা সেচের মাধ্যমে ফসল চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রকল্প এলাকার জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় এর ক্ষতির প্রভাবমুক্ত উৎপাদন পরিবেশ বজায় রাখতে এবং নিরাপদ শাক-সবজি (ক্যাপসিকাম, গ্রীষ্মকালীন টমেটো, ব্রোকলি, স্কোয়াশ), ফল (স্ট্রবেরি, মেলন), ফুল (জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা) উৎপাদন এবং আগাম ও অফ-সিজন সবজি চারা তৈরির জন্য প্রকল্প এলাকায় প্রতিটি ৮০০ বর্গ মিটার আয়তনের মিস্ট ও ড্রিপ সেচ সম্বলিত ৮টি পলি নেট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য একটি প্রকল্প চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন খুলনা সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা ধিমান মজুমদা।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com