ডুমুরিয়া হাটে যা নেবেন ৫০, যা নেবেন ১০০’। এভাবে হকারদের হাকডাকে মূখরিত হয়ে উঠেছে ডুমুরিয়ার হাটে অলিগলিতে। এখনও শীত জেঁকে না বসলেও শীতের পোশাক দিয়ে পশরা সাজিয়ে বসেছেন ডুমুরিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ছিন্নমূল হকারদের চিৎকারে ডুমুরিয়ার প্রাণকেন্দ্রের অলিগলি ও রাস্তায় অন্যরকম শীতের আমেজ বিরাজ করছে।
শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ডুমুরিয়া সড়কগুলো ঘুরে শীতের পশরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের। গত বছর এই সময়টাতে বেচাকেনা ভালো হলেও এবছর শীত মার্কেট এখনও জমেনি। তবে প্রতিদিন যা বিক্রি হচ্ছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা।
ডুমুরিয়া পোষ্ট অফিস এক কোণে শীতের পোশাকের পসরা নিয়ে বসেছেন মোমিনুল। তার তিনজন কর্মচারী পুড়নো পোশাক বিক্রিতে ব্যস্ত। কর্মচারী মিলন জানান, পুড়াতন গেঞ্জি, সোয়েটার, চাদর, মাফলার, টুপি মোজা ইত্যাদি শীতের পোশাক মাত্র ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ২০ দিন ধরে তারা পোশাক বিক্রি করছেন।
দাম কম থাকায় বিক্রি মোটামুটি ভালো বলে জানান আরেক কর্মচারী সামিউল। তিনি বলেন, পুড়াতন কাপড়ের প্রতিবেল ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কিনতে হয়। একটি কাপড় বিক্রি করে লাভ থাকে ৪-৫ টাকা।
ফুটপাতের এই দোকান থেকে ৫শ’ টাকার মালামাল কিনেছেন উপজেলার হোগলাডাঙ্গা থেকে আসা গৃহবধু মমতা বেগম। তিনি বলেন, দাম কম থাকায় বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক কিনেছি। এই শীতে আর কাপড় কিনতে হবেনা।
চুকনগর মার্কেটের ২০-২৫টি দোকানে শীতের কাপড়ের পশরা দিয়ে সাজানো হয়েছে। জ্যাকেট বিক্রেতা মহিবুল ইসলাম। তার কালেকশনে শিশু থেকে বৃদ্ধদের জ্যাকেট রয়েছে। এই দোকানে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭শ’ টাকা দামের জ্যাকেট রয়েছে। শীত জেকে বসলে তিনি দামী জ্যাকেট ওঠাবেন বলে জানান।
পাশের একটি দোকানে জ্যাকেট, ট্রাউজার, জিন্সের প্যান্ট, মেয়েদের পোশাক দিয়ে সাজানা হয়েছে। দামও ক্রেতাদের আয়ত্বের মধ্যে।
অপর দোকানী আঃ কাদের বলেন, দশদিন আগেও যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি হতো এখন সেটি হচ্ছেনা। মাসের শেষদিকে বেচাকেনা একটু কম থাকে। ১-২ তারিখে বেতন হলে বেচাকেনা ভালো হবে বলে তিনি জানান। এই দোকানী বলেন, উন্নতমানের এক বেল জ্যাকেট ৫০-৫২ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হয়। এরপর লাভের চিন্তা। এই পণ্য কিছুদিন পর ওঠাবেন বলে জানান।
বিভিন্ন ঘুরে দেখাগেছে টুকটাক কম্বলও বিক্রি হচ্ছে। ডুমুরিয়া মাকের্টের ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর জানান, তার দোকানে ২শ’ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা দামের বিভিন্ন ডিজাইনের কম্বল রয়েছে। ভালো কোয়ালিটি কম্বলের দাম একটু বেশী। অপর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও ইসলাম বলেন, তার দোকানে ১৫০ থেকে শুরু করে ৩-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত কম্বল রয়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ডুমুরিয়া বাস্টার্ড সামনের সড়কের ফুটপাতে পশরা সাজিয়ে বসেছেন কবির মোল্লা। এই হকার চিৎকার করে বলছেন, ‘যা নেবেন ৫০, যা নেবেন ১০০’। একটিবারের জন্যও এই চিৎকার থামছে না। ছেড়া ফাটা জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি ৫০ ও ১০০ টাকা দরে ফিক্সড প্রাইজ হিসেবে তিনি দাম বলছেন।
ভ্যানে ফুলহাতা গেঞ্জি ও টুপি সম্বলিত ফুলহাতা জ্যাকেট বিক্রি করছেন মোঃ নয়ন। প্রতিটি পণ্যের দাম ১৫০ টাকা। ৪ বছর থেকে শুরু করে বড়দের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে তার ভ্যানে।
শাহজাহান বলেন, প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এতে কোন কোন দিন ৭-৮শ’ টাকা লাভ থাকছে।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
zahidit.com