সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত টানা ৮ ঘণ্টার অভিযান চালায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র। তিনি জানান, দুদকের একটি দল সাধারণ পোশাকে ভোক্তার ছদ্মবেশে অফিসে উপস্থিত হয়ে সেবাগ্রহীতা সেজে সেবা কার্যক্রমের বাস্তবচিত্র পর্যবেক্ষণ করে।
অভিযানের সময় একাধিক সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে প্রকৃত রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
এর মধ্যে আব্দুর সাত্তার নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমি খাজনা দিতে আসলে আমাকে বলা হয় ১৫ হাজার টাকা লাগবে। তখন বললাম আমি তো এত পারব না, একটু কম করে নেন। পরে বলেন ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। দর কঢাকষির এক পর্যায়ে আমি দশ হাজার টাকা দেব বললে, রাজি হয়ে যায়। চেক কেটে দেওয়ার পর আমি বাইরে এসে দেখি খুলনা থেকে আসা লোকজন, সাধারণ পোশাকে। তারা আমার কাগজপত্র দেখে বলেন, ‘তোমার কাজ এত টাকা নয়, তোমার কাছ থেকে তো বেশি নিয়েছে’। তারা আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন এবং পরে আমার টাকা ফেরত দেন।”
তাৎক্ষণিকভাবে ওই কর্মকর্তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত শুরু করে দুদক। এ ছাড়াও, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পূর্বেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে এবং সে সংক্রান্ত দুটি ভিডিও ফুটেজ দুদকের কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বলেন, “আজকের অভিযানের পুরো বিবরণ প্রতিবেদন আকারে কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের নির্দেশনায় পরবর্তী অনুসন্ধান ও প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় জনগণ এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বারবার অভিযোগ দেওয়ার পর অবশেষে তদন্ত হওয়ায় তারা আশান্বিত। তারা চান, এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধে নিয়মিত নজরদারি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, উক্ত ভূমি অফিসের নায়েবকে কালিগঞ্জের চাম্পাফুল এলাকায় বদলী করা হলেও তিনি নিয়ম বহির্ভুতভাবে নগরঘাটায় অফিস করছিলেন। সচেতন মহলের ধারণা তিনি ঘুষ বানিজ্যের টাকা কুড়াতে এসেছিলেন হয়তো।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com