সারা দেশের ন্যায় পাইকগাছা উপজেলাও বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পুরো এলাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতা। এতে পুরো এলাকায় তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
নির্মাণ শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, ভ্যান চালক গরমে হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে। রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না পেয়ে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি।
পৌরসভার বাসিন্দা ভ্যান চালক রবিউল বলেন, বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা সোনিয়া বেগম বলেন, “প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার সন্তান কয়েক দিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে।
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এই গরমে অপ্রোয়জনে বাইরে ঘোরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকুন , যারা কাজের জন্য বাইরে থাকেন, তাদের ছাতা ব্যবহার বা মাথায় কাপড় দিতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। কারণ এসব রোগীর হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক এড়াতে শ্রমজীবীদের একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।