পূর্ব শত্রতার জের ধরে মাগুরার মহম্মদপুরে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ থেকে ছয়টি বাড়ীতে হামলা ও ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর যশোবন্তপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। দ্রত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ পৌছার আগেই ওবায়দুর, রাকিব, রমজান, রুপালী মেম্বর ও কায়েম মোল্যাসহ কয়েকটি বাড়ীতে আক্রমণ ও ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত এক বছর আগে স্থানীয় একটি মেয়েলী বিষয় নিয়ে এলাকাভিত্তিক মাতুব্বর রবিউল ইসলাম ও সাকাওয়াত হোসেনের গ্রæপের সাথে কায়েম মোল্যা ও নান্নু মোল্যার গ্রপের মনোমালিন্য তৈরী হয়েছিল। এই বিষয় নিয়ে বছর ধরেই এলাকায় চলতে থাকে জল্পনা-কল্পনা ও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে উত্তেজনার ঘটনারও ঘটে থাকে মাঝে মাঝে।
দীর্ঘদিনের এই শত্রতাকে কেন্দ্র করে গত চার থেকে পাঁচ দিন আগে দুই গ্রপের মহিলাদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রবিউল ও সাকাওয়াত গ্রপের নবিরণ নেছা (৪৫) নামের এক মহিলাকে মারধর করে আহত করে কায়েম ও নান্নু গ্রæপের মহিলারা। আহত নবিরণ নেছাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং এখনো ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরুতর আহত নবিরণ নেছার মৃত্যু সংবাদ এলাকায় প্রায়ই উত্তেজনার সৃষ্টি করে। সে অনুযায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নবিরণ মারা গেছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাতেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরের দিন শনিবার দুপুরে রবিউল ও সাকাওয়াত গ্রæপের লোকজন হঠাৎ কায়েম ও নান্নু গ্রæপের লোকজনের ঘরবাড়ীতে আক্রমণ চালায় এবং ঘর ভাংচুর।
প্রতিপক্ষ প্রস্তুতি নিয়ে বের হবার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং
এখনো পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মহম্মদপুর থানা ওসি মোঃ বোরহান উল ইসলাম জানান, বড় ধরণের সংঘর্ষ ঘটার আগেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি।
" বিবিসি সাতক্ষীরা "
সম্পাদক ও প্রকাশক : আব্দুল মতিন।
মেইল- bbcsatkhira@gmail.com ঠিকানা- পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ।
zahidit.com